সিলেটে বেড়েছে মশার দৌরাত্ম্য। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। শীতের শেষে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ আকারে বাড়ছে মশার বিস্তার। দিনের বেলায়ও অফিস কিংবা বাসা-বাড়িতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। আর সন্ধ্যা হলেই মশার উপদ্রব বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ।
অনুকূল পরিবেশ হওয়ায় এই সময়টিতে মশার প্রজনন অনেকগুণ বেড়ে গেছে। শীতের শেষে তাপমাত্রা বাড়ায় মশার আবাসস্থলে থাকা ডিম একযোগে ফুটছে। এতে মশার ঘনত্ব ক্রমশ বাড়ছে। ফলে সিলেট মহানগরে মশার উপদ্রব বাড়ছে।
নগরবাসীর অভিযোগ, হঠাৎ করেই মশার এমন দৌরাত্ম্য বাড়লেও নজর নেই সিলেট সিটি করপোরেশনের। তবে সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, মশার উপদ্রব কমাতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
সিলেটে মহানগরীর মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহে মশার উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে, তার বাসায় মশার কয়েল, স্প্রে, মশা মারার ব্যাট কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না।
মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা তারিফ বলেন, মদিন মার্কেট এলাকায় মশার ওষুধ ছিটাতে পাঁচ মাসেও একবার দেখা যায় না। এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলেরও কোন কার্যকর পদক্ষেপ দেখছি না।
সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময়ে মশার উপদ্রব বাড়বে স্বাভাবিক। তবে, মশা নিধন কর্মসূচি চালানো হচ্ছে দ্রুতই মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে আসবে।
মশার উপদ্রব বাড়ার দায় শিকার করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সিলেটভিউ-কে জানান, জনবল সংকট এবং কার্যকর কার্যকর পরিকল্পনার অভাবে মহানগরীতে মশার দৌরাত্ম্য বেড়েছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল মশার লার্ভা ধ্বংশ করা। আমরা সে ক্ষেত্রে সফল হয়েছিলাম। কিন্তু কার্যকর পরিকল্পনার অভাবে মশার উপদ্রব বেড়েছে। তার উপর জনবল সংকটের কারনে সব ওয়ার্ডে একসাথে কাজ করা সম্ভব না। যাদের দ্বারা কাজ করানো হয় তার অদক্ষ। যার ফলে ঔষধের সঠিক ব্যবহারও হচ্ছে না।
ঔষধের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিঃসন্দেহে আমরা যে ঔষধ ব্যবহার করি তা মানসম্মত। আর এটি আমরা বিভিন্ন ভাবে পরিক্ষা করেছি। মশা নিধনে আগামী দু্ই-একদিনের মধ্যে বিশেষ কর্মসূচি চালানো হবে বলে জানান তিনি।
শুধু মশার ওষুধ দিয়েই মশা নির্মূল সম্ভব নয়। এজন্য যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি সিটি করপোরেশন কর্মকর্তারা ড্রেন, ঝিল ও ডোবা পরিষ্কার রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত / ডি.আর