সিলেট মহানগরে জলাবদ্ধতার মূল কারণ ছড়া-খাল-নালা ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ হয়ে পড়া, পানির প্রবাহ ঠিক না থাকা। গত বছর সিলেট সিটি করপোরেশনের উদাসীনতায় কয়েক দফার বন্যা চরমভাবে ভুগিয়েছে নগরবাসীকে। অল্প বৃষ্টিতেই মহানগরের রাস্তা ও বাসাবাড়িতে থৈ থৈ করতো পানি।
নগরবাসীকে এ দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে এবারের শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ছড়া-খাল-নালা পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করে সিসিক । তবে এ কাজে ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রমাণ যেন মহানগরের টিলাগড় এলাকার ‘কানাছড়া’। এটা এখন ছড়া নয়, যেন ময়লার নদী। পুরো ছড়ায় ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। এ অবস্থায় ছড়াটি দ্রুত পরিচ্ছন্ন না করলে বৃষ্টি হলেই শুরু হবে ভোগান্তি- এমন মন্তব্য স্থানীয়দের।
তবে সিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন- বৃষ্টি শুরুর আগেই মহানগরের সব ছড়া-খাল-নালা পরিচ্ছন্ন করা হবে। পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- টিলগড়ের এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়ার নাম ‘কানাছড়া’। মহানগরের বড় ১১টি ছড়ার মধ্যে ১টি গোয়ালিছড়া, ‘কানাছড়া’ এর শাখা। কিন্তু এতে জমে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। টিলাগড়ে সিলেট-তামাবিল মহসড়কে এমসি কলেজ সংলগ্ন কালভার্টের দুপাশে এ ছড়ায় ছড়িয়ে আছে বেশ ময়লা-আবর্জনা।
স্থানীয়রা বলছেন- আবহাওয়া অধিদপ্তর গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে। কিন্তু সিসিক কর্তৃপক্ষ ছড়াগুলো দ্রুত পরিচ্ছন্ন করছেন না। এ কাজে ধীরগতি রয়েছে। বৃষ্টি হলেই ‘কানাছড়া’র সব ময়লা ভেসে গিয়ে গোয়ালিছড়ায় পড়বে। আর সিসিকের কাজে বিলম্বের মাশুল দিবেন নগরবাসী।
‘কানাছড়া’টি দ্রুত পরিচ্ছন্ন করার দাবি জানান স্থানীয়রা।
সিসিকের প্রশাসনিক ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা হানিফুর রহমান মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সিলেটভিউ-কে বলেন- আমাদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে গাবিয়ার খাল, রত্নার খাল ও গোয়ালিছড়ায় পরিচ্ছন্নতাকাজ চলছে। ‘কানাছড়া’টিও দ্রুত পরিচ্ছন্ন করা হবে। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই সব ছড়া-খাল পরিচ্ছন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / জুনেদ / ডালিম