ছবি : পল্লব ভট্টাচার্য্য

প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা বাজেটে ২০১৭ সালে এমসি কলেজের দশ তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও আজও শেষ হয়নি ভবন নির্মাণের কাজ। ২০১৯ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফা সময় বাড়ানোর পর ভবনের কাজ আগামী জুন মাসের দিকে শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে ভবনটির ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তপক্ষ।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে দশ তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। পান্না এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটির নির্মাণ কাজ করছে। ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ১২ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা বাজেটে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিভিন্ন কারণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ৩ বছর পর ২০২০ সালে শুরু হয় কাজ।


নতুন এই ভবনটির নিচতলায় থাকছে সেমিনার কক্ষ, ক্যান্টিন, স্পোর্টস রুম। প্রতি তলায় ৪টি করে ক্লাস রুম। ছেলে ও মেয়েদের জন্য থাকছে আলাদা আলাদা ওয়াশরুম। ভবনের দুই পাশে খাকছে ২টি লিফট। এছাড়াও জেনারেটরের জন্য রয়েছে আলাদা একটি রুম। ভবনটির কার্পেট এরিয়া ৭ হাজার ৪০০ বর্গফুট ও বিল্ডআপ এরিয়া ৮ হাজার বর্গফুট।

এমসি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. আশরাফুল কবীর সিলেটভিউকে জানান, আগামী জুন মাসের মধ্যেই কলেজের দশতলা ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তারপরই এটির উদ্বোধন হবে। নতুন এই ভবনটিতে স্থান পাবে কলেজের ইংরেজি বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগ। এছাড়াও স্থান পাবে আইসিটি ল্যাব।

আশরাফুল কবীর জানান, করোনার কারণে ভবন নির্মাণে কাজে ধীর গতি এসেছিল। এছাড়া পাশের পাহাড় এবং মাটিতে সমস্যা থাকার কারণে নির্মান কাজ বিলম্বিত হয়েছে। ভবনের কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে। এটি চালু হলে এমসি কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে।

আশরাফুল কবীর আরো বলেন, বর্তমানে বেশ কয়েকটি বিভাগের ক্লাস এমসি কলেজের সামনে দিকে পুরাতন জরাজীর্ণ টিনশেড ভবনে হচ্ছে। এগুলোকে নতুন ঐ ভবনে হস্তান্তর করা হবে। এছড়ার এই জরাজীর্ণ টিনশেডের ভবনকে নিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত / ডি.আর