সিলেটে ঐতিহ্যের মিশেলে নবনির্মিত বাস টার্মিনালের নকশার প্রত্যক্ষ ধারণা পেয়েছেন শাহজলাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৯মার্চ) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনটি পর্বের একটি সেশনে কদমতলীর ওই বাস টার্মিনালে শিক্ষার্থীরা নতুন এই স্থাপনা সম্পর্কে জানতে পারেন।
শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি জানিয়েছেন স্থাপত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাবা রাইদাহ ফারুকী। জানা যায়, এ টার্মিনালের মূল নকশা করেছেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক সুব্রত দাশ, রবিন দে ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
টার্মিনালের এই নকশা প্রণয়নে সিলেটের ঐতিহ্য ক্বিন ব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি এবং আসাম টাইপ বাংলোর স্থাপত্যশৈলী অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে স্থপতিদের। এছাড়া ওই সকল ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় করা হয়েছে ওই টার্মিনালে।
সিলেটের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আট একর জমির ওপর ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে কদমতলীর এই বাস টার্মিনাল।
এসকল দিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদেরকে নকশা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা দিতেই শাবি শিক্ষকরা ওই টার্মিনালে একটি সেশন নিয়েছে বলে জানান রাইদাহ।
তিনি বলেন, গত ৯ই মার্চ স্থাপত্য সংঘ আয়োজিত সেশনে সিলেটের ল্যান্ডমার্ক হয়ে গড়ে ওঠা কদমতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এসেছি। এসময় আমাদের একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেশনটি মূলত তিন পর্বে বিভক্ত ছিল।
"প্রথম পর্বে টার্মিনালটির নকশাকার এবং একাধারে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক স্থপতি সুব্রত দাশ এবং স্থপতি গৌরপদ দে ছাত্রবস্থা এবং কর্মজীবনের সমন্বয় ঘটিয়ে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।"
"দ্বিতীয় পর্বটি ছিল সেশনের মূল আকর্ষণ যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস টার্মিনালটির নকশাকার হিসেবে স্যারদের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ জায়গাটি পর্যবেক্ষণ এবং সামনে দাঁড়িয়ে সরাসরি তাদের নকশার ব্যাখ্যা শোনার সুযোগ পেয়েছি আমরা।''-যোগ করেন রাইদাহ।
তৃতীয় পর্বটি ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল জানিয়ে রাইদাহ বলেন, এসময় শিক্ষার্থীরা টার্মিনালটির নকশার বিষয়ে শিক্ষকদের কাছে নানান প্রশ্ন করেন। এই পর্ব এক ঘন্টব্যাপী চলে।
"এরপর স্থাপত্য সংঘের ৯ম কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম রাফসানজানী এবং অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ শিক্ষকদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। শুভেচ্ছা স্মারক প্রদানের মাধ্যমে সেশনটির সফল সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।"
রাইদাহ আরও জানান, ওই সেশনে স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক শুভজিৎ চৌধুরীসহ শিক্ষর্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/নোমান/পল্লব-৭