যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিষ্টার আশিকুন্নবী চৌধুরী বলেছেন, বারকী, জন বারকী বইয়ের সাথে ব্রিটেনের যোগসূত্র প্রবল। এই বই ইংরেজী অনুবাদ করে ব্রিটিশ সোসাইটিতে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। বারকী, জন বারকী ব্রিটিশদের উপনিবেশ আমলের অনেক অজানা তথ্য জানতে সহায়তা করবে।

 


লন্ডনে বারকি, জন বারকি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যকালে আশিকুন্নবী একথা বলেছেন।

মাসিক বিলেত ও রানার মিডিয়ার আয়োজনে বিলেত সম্পাদক সাঈম চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশিকুন্নবী চৌধুরী আরো বলেন, লেখক উজ্জ্বল মেহেদীর লেখার মধ্যে এক ধরনের মোহ আছে। লেখা পড়ে ছবি দেখার যে ভাষা শৈলী সেটা উজ্জ্বল মেহেদীর বারকি, জন বারকি বইয়ে আছে। একই ধরনের লেখার যাদু ছিলো সাংবাদিক এস এম আলীর। উজ্জ্বল মেহেদী সাংবাদিক এস এম আলীর উত্তরসূরী।

সাংবাদিক ছামির মাহমুদ সম্পর্কে তিনি বলেন, আপনাকে আজকে সংবর্ধিত করা হলো মানে একটি গুরু দায়িত্ব নিয়ে আপনি সিলেট ফিরে যাবেন। দেশে গিয়ে এই বিলেতের কথা বলবেন। বিলেতের সাংবাদিকদের কথা বলবেন।

অনুষ্ঠানে বিলেত মিডিয়ার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সাংবাদিক ছামির মাহমুদকে। এসময় লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক তাইসির মাহমুদের নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের গিফট ব্যাগ তুলে দেন ক্লাব নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রানার মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আ স ম মাসুম। এরপর বক্তব্য রাখেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ম্যাক্স মিডিয়ার কর্ণধার, সাংবাদিক আব্দুস ছাত্তার, লেখক ও কবি হামিদ মোহাম্মদ, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কমিউনিক্যাশন অফিসার ও লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি মাহবুব হোসেন,  লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, সাংবাদিক আনসার আহমেদ উল্লাহ , কোষাধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ, ইভেন্ট সেক্রেটারী এমরান আহমেদ, প্রথম নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরী বাবু, অনলাইন ২৬শে টিভির কর্ণধার জামাল খান, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট জনাব ফারুক, সাংবাদিক হাসনাত চৌধুরী, সোহাগ জাদু, খালেদ মাহমুদ রনি। 

বক্তারা বারকি, জন বারকি বইয়ের সাফল্য এবং সাংবাদিক ছামির মাহমুদের পেশাগত জীবনের সমৃদ্ধি কামনা করেন।

সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন, উজ্জ্বল মেহেদীর বারকি, জন বারকি ইতিহাসের মিশ্রনে রূপক গল্প। যেখানে ইতিহাস হারিয়েছে সেখানে গল্প এসে সেই জায়গা পূনরুদ্ধার করেছে। ইতিহাসের এই আখ্যান অমূল্য সম্পদ সিলেট ও ব্রিটিশ সামাজিক বিকাশের জন্য। 

সাংবাদিক ছামির মাহমুদের পেশাগত জীবনের সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, আপনার সাংবাদিকতার অনুসন্ধান প্রতিনিয়ত সিলেটকে জানতে সহায়তা করছে আমাদের। সেই ধারা অব্যাহত থাকুক।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নাজাত