অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল দলটি, যা গত রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে বিএনপি। এবার আন্দোলনে সফলতা পেতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে দলটির হাইকমান্ড। চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে এক দফার আন্দোলনে চূড়ান্ত রূপ দিতে জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। এ নিয়ে নানামুখী তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোকে আন্দোলনের উপযোগী হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি সংগঠনের নতুন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার অপেক্ষায় আছে।

এবারের সম্ভাব্য এক দফার আন্দোলনে বিএনপি তাদের সমমনা অন্য দল ও জোটকেও পাশে চায়। সে লক্ষ্যে সম্প্রতি বরিশালে চরমোনাই পীরের সঙ্গে সেখানকার মাহফিলের মেহমানখানায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকও করেছে। তা ছাড়া ২০ দলীয় জোটের (বিলুপ্ত) অধিকাংশ শরিক দল পৃথক জোটের ব্যানারে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শুধু বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামী তাদের নিজেদের মতো কর্মসূচি পালন করছে। কবে মাঠে নামছেন, তা নিয়ে নেতারা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের শুরুতে ঢাকায় সমাবেশ বা লংমার্চের মতো কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে এক দফার আন্দোলনে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। কেননা মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে, যা চলবে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। রমজানে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তবে এবার চূড়ান্ত আন্দোলন হবে স্বল্পমেয়াদি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।


জানা যায়, চলতি মার্চে বড় ধরনের আন্দোলন গড়তে গত ফেব্রুয়ারি থেকেই নানামুখী কর্মকাণ্ড নিয়ে এগোচ্ছিল বিএনপির হাইকমান্ড। দলের ভাবনা হচ্ছে— ইউনিয়ন, উপজেলা-জেলা-মহানগরে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের পর বড় আন্দোলন গড়ে তোলা। সে অনুযায়ী, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি করে দলটি। এরপর গত ৪ মার্চ অন্যান্য মহানগরের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ৫০টি থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি হয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার সব জেলা ও মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচি হয়েছে। শনিবারও বড় কর্মসূচির ঘোষণা না দিয়ে আবারও মহানগরে সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ রাজনৈতিক পরিবেশ, পরিস্থিতি, সরকারের মনোভাব এবং রাজধানী ঢাকার সাংগঠনিক প্রস্তুতিসহ সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে মার্চে বড় আন্দোলন করার চিন্তা থেকে সরে আসে বিএনপি।

আন্দোলন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতাদের মতে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে হলে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। জনস্বার্থে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে এগোতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা আরও বাড়ে। পাশাপাশি নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত এবং দলের মধ্যে বিভেদ দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এরই মধ্যে বেশকিছু কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় ৪ হাজার জনপ্রতিনিধিকে (সাবেক ও বর্তমান) সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যা বৃহস্পতিবার শেষ হবে। এসব বৈঠকে এক দফা আন্দোলনের পরামর্শ এসেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দশ দফার ভিত্তিতে আমাদের যুগপৎ আন্দোলন তো চলমান। আন্দোলনের গতিবিধি নির্ধারণ হয় পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে বেপরোয়া ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাদের দুঃশাসন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। তবে অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না। আমাদের সামনে আন্দোলনের বিকল্প নেই। সময়ই নির্ধারণ করবে আন্দোলনে গতি কী হবে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিএনপি একদফা ইস্যুতে বিভিন্ন দলের সাথে আলোচনা করেছে। সরকার দাবি পূরণ না করলে আন্দোলন সফল করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা আমরা করব।

বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, চলমান আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন তারা। যে কারণে ১০ দফা দাবির সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে কর্মসূচি দিচ্ছেন। ইউনিয়ন ও মহানগরের পর সব সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে পদযাত্রার মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে চায় দলটি। এ ছাড়া দাবি আদায়ে সরকারের ওপর আরও চাপ তৈরিতে কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৭টি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি মহাসচিবসহ একটি প্রতিনিধি দল। কেননা এবার বিএনপি ‘ডু অর ডাই’ নীতিতে—এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে দাবি আদায়ে আন্দোলনের পাশাপাশি বন্ধুরাষ্ট্রের সহায়তাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। এ জন্য বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে। গত প্রায় দুই মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র নেতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্যরা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে বেশ কয়েকজন নেতা প্রভাবশালী কয়েকটি দেশ সফর করেছেন।

দলটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দলের সাবেক-বর্তমান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় কঠোর কর্মসূচি দিয়ে এক দফার আন্দোলনে নামার পরামর্শ এসেছে। এমতাবস্থায় অতি দ্রুত সরকার পতনের লক্ষ্যে এক দফার আন্দোলনে যেতে হবে দলকে। সেই আন্দোলন রমজানের মধ্যে কীভাবে করা যায়, সে বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা চলছে। তা না হলে রমজানের মধ্যে দল গোছানো শেষে রোজার পরই আন্দোলন নতুন মাত্রায় উপনীত হবে। বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার পাশাপাশি যে কোনো সময় নির্বাচন হলে সে বিষয়েও তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

যুগপৎ আন্দোলন সফলের লক্ষ্যে গঠিত একাধিক জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা জানান, বিএনপি তাদের কাছে চলমান আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে মতামত নিয়েছেন। রমজানের আগেই এক দফা আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা থাকলেও সেটি পরিস্থিতি অনুযায়ী সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে রোজার পরই বড় ধরনের লাগাতার কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে। সেজন্য আরও এক থেকে দেড় মাস সাদামাটা কর্মসূচিই থাকবে। এরপর আবার জেলা ও মহানগরে কর্মসূচি পালন করা হবে। এভাবে কর্মসূচির সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামতে চায় বিএনপি। পরে মে-জুনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছেন নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, যে কোনো আন্দোলনের তীব্রতা পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী ওঠানামা করে। সবসময় একইরকম কর্মসূচি থাকে না। আমাদের পদযাত্রা, মানববন্ধন ও সমাবেশের কর্মসূচি চলছে। এগুলো একেবারেই সাদামাটা নয়। এসব দেখেই তো আওয়ামী লীগ বিচলিত হয়ে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। কারণ ক্ষমতাসীনরা চায়, বিএনপি এখনই তাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিক। তাহলে তারা বিগত দিনের মতো আবারও মিথ্যা ও গায়েবি মামলা-হামলা করে মাঠ থেকে নির্বাচনের আগেই বিএনপিকে বিতাড়িত করতে পারে; কিন্তু বিএনপি সেই পথে না গিয়ে আন্দোলনের উত্তাপ ধরে রেখে মোক্ষম সময়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সব বাধা পেরিয়ে সাংগঠনিক দশ বিভাগের গণসমাবেশে নেতাকর্মী ও সমর্থকের বাইরে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ সরকারকে ভাবনায় ফেলে দেয়। এ কারণে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের জায়গা নিয়ে বিএনপি ও সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়। একপর্যায়ে ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের বড় ধরনের সংঘর্ঘে একজন নিহতসহ অনেকে আহত হন। সেদিন দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে এবং পরের দিন গভীর রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসব ঘটনায় ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের আগে আন্দোলনের গতি কিছুটা নিচে নামলেও সফলতা দেখছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তাদের দাবি, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ থেকে তারা যুগপৎ আন্দোলনের বড় বার্তা দিতে পেরেছেন। হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার করে আন্দোলন যে থেমে থাকে না, সে বার্তাও দেওয়া গেছে। ওই সমাবেশ থেকে একযোগে জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা এবং পরে তা কার্যকর করা হয়। পর্যায়ক্রমে ৫৪টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিএনপির ১০ দফা সমর্থন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করা। এ অবস্থায় পরবর্তী কর্মসূচিগুলোতে ধীরে ধীরে আন্দোলনের গতি বাড়তে থাকে। এসবকে বিশেষ সফলতা হিসেবে মনে করছে বিএনপির হাইকমান্ড।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে যায় না। সুতরাং দেশের জনগণ বিশ্বাস করে, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না—এ ব্যাপারে সবাই ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও হামলা করেছেন। তবুও প্রতিটি কর্মসূচিতে মানুষের ঢল নামছে। অতএব, আমরা যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে-বিদেশে একটা বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছি, দেশের মানুষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অপেক্ষা করুন, মোক্ষম সময়েই চূড়ান্ত আন্দোলন হবে।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো ও দমন-নিপীড়ন বন্ধ এবং খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি, অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছে বিএনপি। গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার বাইরে জেলা ও মহানগরে গণমিছিলের মধ্য দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়। তবে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর ওই কর্মসূচি পালিত হয়। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ মার্চ সারাদেশের মহানগরে আবারও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে


সূত্র : কালবেলা