মানুষের নির্মমতায় দেশের নদীগুলো বিপন্ন হতে চলেছে। নিজেদের স্বার্থেই আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। নদীর প্রতি অমানবিকতার কারণেই আমরা বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছি। নদীকে তার পূর্ণ রূপে ফিরিয়ে আনতে না পারলে সামনে আরও বিপর্যয় অপেক্ষা করছে-এমন বক্তব্যই উঠে এলো সিলেটে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসের নৌ আড্ডায়।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সেভ দি হেরিটেজ এন্ড এনভারনমেন্টের উদ্যোগে নগরীর চাঁদনিঘাট সংলগ্ন সুরমার বুকে এ আয়োজন করা হয়।


নদীকে রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে নৌ আড্ডায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আজীবন সদস্য জহিরুল হক শাকিল বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সভ্যতাকে রক্ষা করতে হলে নদীকে রক্ষার বিকল্প নেই। হাইকোর্ট নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছেন, কিন্তু এরপরও থেমে নেই নদী দখল-দূষণ।’ এজন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হওয়ার আহŸান জানিয়ে মডেল নদী ঘোষণার দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘মডেল নদীগুলো হবে দখলমুক্ত হবে, দূষণমুক্ত। যার মাধ্যমে মানুষ নদীর প্রকৃত রূপ ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে আমরা যদি নদীগুলোকে বাঁচাতে উদ্যোগী না হই তা আমাদের জন্যই ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’

সেভ দি হেরিটেজ এন্ড এনভায়রনমেন্টের সমন্বয়ক আব্দুল হাই আল হাদীর সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় আরও অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক পরিবেশ সংগঠক উজ্জ্বল মেহেদী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সাঈদ চৌধুরী টিপু, কোষাধ্যক্ষ আনন্দ সরকার, এমসি কলেজ রিপোটার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আজহার উদ্দিন শিমুল।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মিঠু দাস জয়, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তা আল আমিন, দৈনিক উত্তরপূর্বের স্টাফ রিপোর্টার ফয়জুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াস আকরাম।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/পিডি