পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, হাওরের স্থায়ী বাঁধ বা নদী খননের প্রকল্প খুব ব্যয় বহুল প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে বিশেষ সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। হাওরের টেকসই কাজে তড়িঘড়ি করা যাবে না। গেল তিন বছর ধরে বৈশ্বিক মন্দা চলছে। বাংলাদেশ মন্দার বাইরে নয়। মন্দার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছেন। হাওরের কাজ থেমে নেই চলতেছে। এজন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আগামীতে হাওরের উন্নয়নের জন্য ভালো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। শীঘ্রই হাওর এলাকার ১৯ টি নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সে জন্য কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বাধ নিয়ে এতো কথা হবে না।
 

বুধবার বেলা ১১ টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালী ফসল রক্ষা বাঁধে পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি।
 


এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, সামছু দোহাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ।
 

পরে প্রতিমন্ত্রী স্পিড বোটে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার টাংনির হাওর, জলডোবা, জয়পুর উদগলবিল হাওরের ফসল রক্ষা বাধ পরিদর্শন করেন। চলতি বছর দিরাই উপজেলায় ১শ ৬৮ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ৩১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হাওরে ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/হিল্লোল/এসডি-২৪