যেকোনো মাংস, দুধ ও ডিমের দাম এখন নাগালের বাইরে। এসব খাদ্যপণ্য কিনতে না পারায় প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের রমজানেও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে কমদামে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
 

জানা যায়, করোনা সংকটকালে খামারি ও সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের তাগিদে প্রথম চালু হয় মাংস, দুধ, ডিমের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র। এতে মানুষের দোরগোড়ায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়। গত দুই বছরের রমজানেও সুলভমূল্যে ভ্রাম্যমাণভাবে এসব পণ্য বিক্রি করা হয়। আসন্ন রমজানেও কমদামে এসব পণ্য বিক্রিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র।


রমজান মাসে মাংস, ডিম, দুধ সরবরাহের জোগান ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সম্প্রতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, রমজানের আগে বাজারে মুরগির মাংস, খাসির মাংস, গরুর মাংস, দুধ, ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও সাপ্লাই চেইন সচল রেখে মূল্য স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সুলভমূল্যে সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুলভমূল্যে বিক্রির জন্য মুরগির মাংস, খাসির মাংস, গরুর মাংস, দুধ এবং ডিমের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। সরকারি দুগ্ধ ও গবাদি পশু উন্নয়ন খামার থেকে মাংসের জন্য সরবরাহযোগ্য গরুর সংখ্যা জেনে নির্ধারণ করা হবে গরুর মাংসের পরিমাণ। ঢাকা শহরের ২০টি স্থানে, চট্টগ্রাম শহরের পাঁচটি স্থানে এবং অন্য প্রতিটি বিভাগীয় শহরের একটি স্থানে সুলভমূল্যে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৪