সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নাম করার জন্য বিএনপির প্রতিনিধিদল ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায় দাওয়াতে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 


তিনি বলেন, আপনারা (বিএনপি) ইন্ডিয়ার কাছে নালিশ করেছেন; এখন খুশিতো! আপনারা ভাবছেন ইন্ডিয়া আপনাদের সঙ্গে থাকবে।

কিন্তু কেউ আসবে না। কেউ পাশে থাকবে না। ভোট দেবে জনগণ। আর বাংলাদেশের জনগণ অন্য কারও কথায় ভোট দেবে না। যারা জনগণের জন্য কাজ করছে তাদেরকেই জনগণ ভোট দেবে। বিদেশি কারও কথায় বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না। বিএনপি যেন এই কথাটা কোনোভাবেই ভুলে না যায়।  
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বংশালে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্কুলের মাঠে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বংশাল থানা, কোতয়ালি থানার অন্তর্গত ৩২,৩৩,৩৪,৩৫,৩৬ নং ওয়ার্ডের ইউনিটগুলোর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৩ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

নির্বাচন বিষয়ে অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজেদের ভেতরের চিত্রটা দেখুন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচনে ভোট চুরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ত্রুটির বিষয়ে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট এই অভিযোগ তুলেছেন। সেগুলো কি আপনারা দেখেন না। গণতন্ত্রের ত্রূটি পৃথিবীর দেশে দেশে আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় ক্যাপিটাল হিলে ৫টি তাজা প্রাণ হারিয়েছে এটি আমরা ভুলিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো বলছি না যে আমাদের নির্বাচন সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত হয়েছে। নির্বাচনকে ত্রুটিমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করছি। কোনো দেশেই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনাই প্রথম নির্বাচন কমিশনকে আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছে। আমাদের মধ্যে চেষ্ঠা আছে নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত রাখার।  
 

বিএনপির আন্দোলন গরুর গাড়ির মতো কাদায় আটকে গেছে, তাদের গাড়ি আর উঠবে না- এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের গাড়ি বিএনপির অন্তরায়। তাদের অবলম্বন ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস এবং মানুষ হত্যা। বিএনপির সঙ্গে খেলা হবে আগামী নির্বাচনে। বিএনপিকে বলব নির্বাচনে আসুন নির্বাচনে খেলা হবে।  

তৃণমূলকে শক্তিশালী করাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য- এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুবলীগ তৃণমূলে চলে এসেছে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য। চলমান আন্দোলনগুলোতে যুবলীগের ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। রাজপথে যুবলীগ এই সক্রিয় ভূমিকা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব খুশি হয়েছেন।  

ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৯