গরমের কারণে? অতিরিক্ত চিন্তা? না, অন্য কিছু? সবাই যখন গভীর ঘুমে কিন্ত আপনি জেগে! কারণ যাই হোক, নির্ঘুম রাত ডেকে আনে নানা বিপদ। এই অভ্যাস নানা শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অনেকেই অর্ধেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। অথচ সকালে উঠতে হবে তাড়াতাড়ি। ছুটতে হবে কাজে। প্রতিদিন এমন রাত জাগা বড় বিপদের লক্ষণ। চিকিৎসকরা সেই ইঙ্গিতই দেন। রাত দুইটা, তিনটা পর্যন্ত জেগে আছেন, অহেতুক মোবাইল ঘাটছেন। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে হার্টের ওপর। বাড়িয়ে দেয় মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জটিলতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের ঘুম কম হয় তাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ৬ ঘণ্টার কম ঘুমালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এর কারণ হলো, ঘুম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা ৮ ঘণ্টা ঘুমান তাদের হার্ট সুস্থ থাকে।
রাতে ঘুম না হলে সারাদিনই মেজাজ থাকে গরম। অযথা মেজাজ চড়ে যায় সবার ওপর। ঘুমের ঘাটতি কেড়ে নেয় জীবনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত। রাতে বিছানায় সেই ছটফটানিতে মিস করে যান কয়েক ঘণ্টার ঘুম। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য- ২০২২ সালে এমনটাই জানিয়েছিল আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষজ্ঞরা।
শরীরের জন্য খাবার যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই জরুরি ঘুম। কিন্তু অনেকেরই রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। যে কারণে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। যারা দিনে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের স্ট্রোক, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। ঘুম কম হলে কীভাবে হার্টের ক্ষতি হয় বিশদে জানুন।
হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে যাবে
ঘুম আমাদের হজম, রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। ঠিক সময়ে ঘুম না হলে হজমের সমস্যা হয়। বেড়ে যায় রক্তচাপ। ঘুমের মধ্যেই হতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে
পাতলা ঘুম উচ্চ রক্তচাপের কারণ। যা আপনার কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টার চেয়ে কম ঘুম স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মতো ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
খাবারে অরুচি
ঘুম আমাদের বেশ কিছু হরমোনকেও নিয়ন্ত্রিত করে। তার মধ্যে একটি হল হজম। পর্যাপ্ত এবং নিয়মিত ঘুম না হলে হজমের ওপর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। খাবারে অরুচি আসে। খিদে কম পায়।
রাতে ঘুম ঠিক ভাবে না হলে সকালের শুরুও হয় খারাপ ভাবে। নিয়মিত ব্যায়াম করার যদি অভ্যাস থাকে তাহলে উঠতেও দেরি হয়। ছন্দপতন হয় স্বাভাবিক রুটিনের। সকাল সকাল হালকা ওয়ার্ক আউট রাতের ঘুমের জন্য ভালো। রক্তচাপ কমায়। শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
তাই প্রতিদিন সকালে ওয়ার্ক আউট করুন। আর নিয়মিত হার্টের চেকআপ করান। তাহলেই দেখবেন কিছুটা হলেও সমস্যা কমেছে। তবে, সমস্যা যদি বাড়তে থাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিডি