সিলেটের বালাগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে হত্যা করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত সুমাইয়া বেগমের ভাই ইসকন্দর মিয়া বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।


বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, নিহত সুমাইয়া বেগমের ভাই ইসকন্দর মিয়া বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।



তিনি বলেন, বুধবার (২২ মার্চ) বিকালে বালাগঞ্জের নুরপুর গ্রাম সংলগ্ন খাল থেকে সুমাইয়ার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় স্কুলছাত্রীর লাশটি  পাঠানো হয়। উদ্ধারকৃত লাশ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ হত্যা করে ফেলে গেছে। স্কুলছাত্রীর গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়না তদন্তে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত বা কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বের করার চেষ্টা চলছে।


নিহত সুমাইয়া বেগম উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের নুরপুর হেকিম আলী গ্রামের আইন উল্যার মেয়ে ও বাণীগাঁও এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।


প্রসঙ্গত, সুমাইয়া স্কুল ও প্রাইভেটের জন্য বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাড়িতে থেকে বের হয়। কিন্তু দুপুরে সুমাইয়ার মা স্কুলে গিয়ে মেয়েকে পাননি। বার্ষিক মিলাদের দাওয়াত থাকায় স্কুলে গিয়েছিলেন তার মা।


এদিকে, স্কুল ছুটির পরও সুমাইয়া বাড়ি না ফেরায় উদ্বীগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয়রা নুরপুর গ্রাম সংলগ্ন খালের পারে তার স্কুল ব্যাগ ও জুতা পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে খালের ঝোপ-ঝাড়ের ভেতরে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় পুলিশকে খবর দিলে বালাগঞ্জ থানাপুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ইআ-০৬