হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর পৌরসভার বর্জ্য নিষ্কাশনের অব্যবস্থাপনার ফলে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনায় পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। পৌর শহরের ব্যবসায়ী ও বাসা বাড়ির নিত্য দিনের ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলায় শহরের পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। এসব বর্জ্য অপসারনের কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসী।
পৌর শহরের ময়লা অপসারনের কোন কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় মৌলানা আছাদ আলী ডিগ্রি কলেজের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পৌর শহরের সকল বর্জ্য স্তুপ করে রাখার ফলে দুর্গন্ধে বাতাস দূষিত হয়ে পড়েছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করতে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ চলাচলের ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। পৌরসভার সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি।
সরেজমিনে দেখা যায় মাধবপুর পৌরসভার মাছ বাজারের পাশে সোনাই নদীর পাড়ে পলিথিনসহ ময়লা আবর্জনা নদীর পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। এসব ময়লা আবর্জনার গন্ধে পৌরবাসী অতিষ্ঠ। হোটেল রেস্তোরাগুলোতে চা নাস্তা খাওয়ার পরিবেশ নেই। রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। দূরের কোন নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা মজুদ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি। মাধবপুর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক সঞ্জিব কুমার জানান এ বিষয়ে মেয়রের সাথে কথা বলেন। একজন মহিলা পরিচ্ছন্নকর্মীসহ মোট ১৫ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছে। ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের জন্য ৪টি ট্রাক রয়েছে।
মাধবপুর পৌর মেয়রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশে গত ০১ বছর আগে কাটিয়ারা মৌজায় ২ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসক ড্যাম্পিং তৈরি করার জন্য। বরাদ্দের অভাবে ড্যাম্পিং কাজ বিলম্ব হচ্ছে এবং হাইওয়ে রাস্তার পাশে ময়লার স্তুপ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক বলেন, এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অপরাধ। নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার কারণে যত্রযত্র রাখা হয়।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/সানাউল/পল্লব-১৬