দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে ২৮টি বিমানবন্দর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলের কাজে ব্যবহৃত হয় ৫টি বিমানবন্দর। বেশকয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। অনেকগুলো আবার শুধুমাত্র সামরিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। দুটি বিমানবন্দর নির্মাণাধীন রয়েছে। এই ২৮টি বিমানবন্দরের মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তবে চলতি বছরের শেষদিকে এই তালিকায় যুক্ত হবে আরও একটি বিমানবন্দর।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর


রাজধানী কুর্মিটোলায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এক হাজার ৯৮১ একর এলাকাজুড়ে রয়েছে বিমানবন্দরটি। দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট এখানে ওঠা-নামা করে।

বিমানবন্দরটিতে ২টি টার্মিনাল রয়েছে। এর তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা।

১৯৮০ সালে এই বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু করার আগে দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল তেজগাঁও বিমানবন্দর। সেখান থেকে সকল কার্যক্রম শাহজালাল বিমানবন্দরে স্থানান্তর করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। দেশের প্রায় ২১ শতাংশ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে।

১৯৪০ এর দশকে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি চট্টগ্রাম এয়ারফিল্ড নামে পরিচিত ছিল। বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হয় ১৯৯০ সালে। কিন্তু ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে এটিকে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি দেয়।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সিলেট অবস্থিত। এটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২০০২ সালে ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। যদিও পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যেসব সুবিধা থাকা দরকার তার অনেক কিছুই নেই। তবে চলতি বছরের মধ্যে এটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রূপ পাওয়ার কথা রয়েছে।

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের কাজ চলছে। তবে ২০২৩ সালের শেষদিকে এটি আন্তর্জাতিক রূপ পাওয়ার কথা রয়েছে। সেটি বাস্তবায়িত হলে এটি হবে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

দেশে সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়ে হবে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আর এই রানওয়ের একটি অংশ থাকবে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/মিআচৌ