ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সরকারকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
 

তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তো জানেই বিরোধীদলগুলো নির্বাচনকে আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তবুও তারা নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাচ্ছে। কারণ বিশ্বকে তো দেখাতে হবে যে, তারা সব দলকে নির্বাচনে আসার চেষ্টা করছে। আমি বলবো এটার নাম চেষ্টা নয়, এটা নির্বাচনের নামে ফোরটুয়েন্টি খেলা। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যতদিন আছেন তার অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না।
 


সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
 

সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
 

মান্না বলেন, ওই ব্লুমবার্গের ফোরটুয়েন্টি মার্কা রিপোর্ট দিয়ে কোনো কাজ হবে না। দেশ নাকি অনেক উন্নত হয়েছে! বেকারত্ব নাকি কমে গেছে ৫০ লাখ! এখানে যারা উপস্থিত আছেন তারাই বলেন গত পাঁচ বছরে আপনার পরিবারের কজন চাকরি পেয়েছে। সম্ভবত পুলিশে গেলে দু-একজন যেতে পারে। এছাড়া আর কোনো চাকরি কেউ পায়নি। যত যাই বলেন, মানুষ এখন আর আপনাদের (আওয়ামী লীগকে) পছন্দ করে না।
 

সরকার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন আমার আপনার পেটে ক্ষুধার আগুন জ্বলবে। ওরা খাবার দিতে পারবে না। একসময় পরনের কাপড়ের অভাব হবে, তখন ওরা নতুন কাপড় দিতে পারবে না। ওরা রাস্তার সিকিউরিটি দিতে পারে না। ওরা জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না। ওরা চাকরির নিরাপত্তা দিতে পারবে না। আপনি চিৎকার যতই করেন এই সরকারের হাতে সেই ক্ষমতা নেই। কারণ তাদের হাতে টাকাই নেই। এমনকি বিদেশি কোনো রাষ্ট্রও ওদের বিশ্বাস করে না।
 

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-০৮


সূত্র : জাগোনিউজ