রাজধানীর বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরই মধ্যে বঙ্গবাজার অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্তব্ধ পুরো দেশ। ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনায় কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে বঙ্গবাজারের আশপাশের এলাকা। সঙ্গে সামাজিকমাধ্যমেও চলছে শোকের মাতম। আগুন, কান্নার আর হারানো ছবি এখন ফেসবুক দেয়ালে দেয়ালে।
 

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকে স্তব্ধ শিল্পী সমাজও। সকাল থেকেই তাদের হাহাকার ও শোকবার্তা ভেসে উঠেছে ফেসবুক স্ট্যাটাসে।  


এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানভীন সুইটি লেখেন, ‘চারিদিকে কান্নার শব্দ…। আল্লাহ আমাদের বাঁচান। ছোট ছোট এই দোকানের মালিকদের কত স্বপ্ন, ঈদে ভালো বিক্রি হবে, পরিবার নিয়ে ঈদ করবে, সব স্বপ্ন আগুন কেড়ে নিলো। আল্লাহ রহমত করেন বঙ্গবাজার। ’

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আহারে বঙ্গবাজার…। ছোট ছোট সাধ্য আর স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, আগুনে ছারখার। ’

চিত্রনায়ক ওমর সানী লেখেন, ‘স্বপ্ন সব শেষ, এটা আমারও তো হতে পারত। বঙ্গবাজার ঢাকা, আল্লাহ আপনি হেফাজত করুন আমাদের। ’

কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা লেখেন, ‘বঙ্গবাজার এর সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের জন্য আমার আন্তরিক ও অন্তহীন  সমবেদনা। বারবার কেন এভাবে একটা মার্কেট এ আগুন লাগে? আল্লাহ তুমি রক্ষা করো। ’

অভিনয়শিল্পী রওনক হাসান লেখেন, ‘আহা! বঙ্গবাজার! কৈশোরের নিত্যসঙ্গী!’

মেহজাবীন চৌধুরী লেখেন, ‘জ্বলছে বঙ্গবাজার! জ্বলছে হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন আর রিজিক। একেকটা দোকান পুড়ে যাওয়া মানে একেকটা পরিবার জ্বলে পুড়ে ছারখার ভস্ম হয়ে যাওয়া। হে আল্লাহ তুমি রক্ষা করো। ’

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব সকালে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন,  ‘রাজধানীর বঙ্গ বাজারে ভয়াবহ আগুন। ২৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ’

শবনম বুবলী এক পোস্টে লেখেন, ‘রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট। যোগ দিয়েছে সেনা, বিমান, নৌ বাহিনী ও বিজিবি’র সাহায্যকারী দল। আল্লাহ সবাই কে হেফাজত দান করুন আমিন। ’

সঙ্গীতশিল্পী বেলাল খান বলেন, ‘বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৪৭টি ইউনিট। মাহে রমজানের উছিলায় আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক। ’

সঙ্গীতশিল্পী এফএ সুমন লেখেন, ‘আজ হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব, রাজধানীর বঙ্গবাজার আগুনে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার দোকান আগুনে পুড়ে শেষ! সবাই দোয়া করবেন, যাতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। আল্লাহতালা সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন। ’

অভিনেতা সিদ্দিক লেখেন, ‘আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে শুভ সকাল লিখতে পারলাম না, বলতে পারলাম না। সকাল থেকে মনটা অনেক খারাপ তাই অনেক পরে স্ট্যাটাস দিলাম। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব, সেই উৎসবে যারা নিজেরা ব্যবসা করে নিজের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিবে, তারাই সকাল হতে না হতেই রাস্তায় কান্না করছে, এটা দেখার পর আমার ভেতরের মানুষটা কেঁদে উঠলো।  

অনেকক্ষণ চুপ করে বসে ছিলাম এবং দোয়া করলাম। আমার জায়গা থেকে কি করা উচিত ভাবলাম। তেমন কিছু খুঁজে পেলাম না। তাই যারা তাদের জন্য করতে পারবেন বিশেষ করে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান। তাদের জন্য কিছু করুন। তা না হলে আখিরাতে গিয়ে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। আসুন দুনিয়াতে থাকাকালীন অবস্থায় এমন কিছু কাজ করি, যাতে করে আখিরাতে গিয়ে ভালোভাবে জবাবদিহি করতে পারি। আল্লাহপাক সবাইকে ভালো কাজ করার তৌফিক দান করুন। সকলকে হেফাজত করুন। আমিন। ’

অভিনেতা জাহের আলভী, ‘আমি এই ঈদে একটি সুতাও কিনবো না। আমি সাধ্য অনুযায়ী আমার ভাইগুলার পাশে থাকব। অন্তত একটি পরিবারকে ঈদ করার সুযোগ করে দিতে চাই। কতগুলো পরিবারের ঈদ ছাই হয়ে গেল। ব্যবসায়ীগুলা কেউ কেউ ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছে, কেউ কেউ কিস্তিতে টাকা এনেছে, মাল কিনে দোকান সাজিয়েছে। কি হবে এই মানুষগুলোর! সবাইকে পাশে চাই। প্লিজ। 
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-২৩