প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ২০১৬ সালে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার অর্থ দেয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয় ম্যানহাটনের জেলা অফিস। অবশেষে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফিরে গেছেন তিনি। খবর সিএননের।
ম্যানহাটনের আদালত প্রাঙ্গন ছাড়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাকে চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করা হলেও সাড়া দেননি।
প্রায় দুই ঘণ্টা আদালতে ছিলেন ট্রাম্প। আঙুলের ছাপ দেওয়া ও ছবি তোলাসহ কিছু কার্যক্রমের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন, অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়, নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এরপর তিনি নিজের গাড়িবহরে করে আদালত ছাড়েন।
সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা চলছে।
যদিও নিউইয়র্কে তার অভিযুক্তের আশেপাশে বিশদ এখনও প্রকাশ করেনি তবুও তিনি সাজা পাওয়ার আগেই গ্রেপ্তার হয়ে হেফাজতে রয়েছেন। অভিযোগটি মঙ্গলবার আনসিল করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে প্রথম জনসাধারণের বিশদ প্রদান করা হবে।
২০১৬ সালে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে তার সঙ্গে করা শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার এই কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায়ীক জালিয়াতি বলে অভিযোগ দায়ের করেছে বিরোধীরা।
ট্রাম্পের আইনি দল বলেছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দোষ স্বীকার করবেন না এবং অভিযোগগুলিকে চ্যালেঞ্জ করবেন। এমনকি তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রার্থীতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজ মার-এ-লগোতে ফিরে গিয়ে রাতের বেলা ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।
নিউজ আউটলেটগুলোকে মঙ্গলবারের সাজা সম্প্রচার করার অনুমতি দেওয়া হবে না, একজন বিচারক সোমবার রাতে রায় দিয়েছেন বলে সিএনএন জানিয়েছে।
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে আগামী ৪ ডিসেম্বর এ মামলার শুনানি হবে। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগ শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানাবেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিডি