নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রভাব ছুঁয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির এই চাপ শিক্ষার্থীদের শারীরিক কিংবা মানসিক অবস্থাতেও পড়ছে বলে তারা জানিয়েছেন। এসব চাপ সামলিয়ে উঠতে বাড়তি টিউশনি করছেন শিক্ষার্থীরা। পারিবারি কিংবা আর্থিক সংকটে টিউশনও খুঁজে না পেয়ে তাদের তাদের কেউ হতাশ হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার এই চরম আর্থিক সংকটে টিউশনি করিয়েও হচ্ছেন প্রতারিত। যার ফলে দিন দিন মানসিক চাপ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা ও মানসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই চাপ শিক্ষার্থীদেরর পড়ালেখাও পড়ছে।
 

এছাড়া শিক্ষার্থীরা জানান, সিলেট শহরের সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে দিয়ে চলাচলে তাদের কেউ কেউ হচ্ছেন ছিনতাই, হেনস্তা এবং চোর চক্রের শিকার।
 


নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির প্রভাব শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায়:
পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমানের ভাষ্য, গ্রামের একজনের কৃষকের পুরো মাসের ইনকামেও এত হয়না আমাদের বাঁচার জন্য যে খরচ লাগতেছে এখন। একজনের বাবা কৃষক, তার মাসিক আয় ১০ হাজার হইলে সে কীভাবে বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তাকে খরচ যোগাবে। এই টাকা এখন আমাদের মাসিক খরচই হচ্ছে। অনেকসময় হতাশার সম্মুখীন হচ্ছি।

 তিনিসহ তার বন্ধুদের এমনও আছেন যে, টিউশনি চলে গেলে খাইয়ে দাইয়ে চলাও কঠিন হয়ে যাবে।

হাসিব বলেন, ‘‘বন্ধুদের অনেকের এমনও সংকট হয় যে, সকালে খাওয়ার পর দুপুরে কিভাবে খাবে সেটা নিয়ে ভাবতে হয়। এসব চিন্তায় ক্লাসে স্যারের লেকচারে দিকেও মনোযোগ বসে না। একসময় মনে হয় দিন দিন মাথা শূন্য হয়ে যাচ্ছে।’’
 

এছাড়া এখন খাতা পত্রসহ সকল প্রকার কাগজের দাম বাড়ায় প্রয়োজনীয় খাতা কিনতেও হিমশিমে পড়তে হচ্ছে বলে জানান আরেক শিক্ষার্থী সফল দাশ। তিনি বলেন, ‘‘আগে এক রীম কাগজ পাওয়া যেত ৩০০ থেকে ৩২০টাকা। এখন একই রীমের দাম দাঁড়িয়েছে পাঁশশো টাকার অধিক। এছাড়া পূর্বে এক পেইজ ফটোকপিতে লাগতো এক টাকা; এখন সেটা দ্বিগুন। প্রতিদিনই তো আমাদেরকে ক্লাস লেকচারের শিট ফটোকপি কিংবা অ্যাসাইনমেন্ট প্রিন্ট করাতে হয়। পড়ালেখা যেন এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন এ শিক্ষার্থী।
 

চরম বিপাকে মেসের শিক্ষার্থীরা :
জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের আশেপাশে কিংবা সিলেট শহরের বিভিন্ন জায়গায় মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক বাসস্থানের অভাবে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী এসব এলাকায় থাকেন। নিত্যপণের এই চড়া দামের কবলে পড়ে সকালের খাবার দুপুরে আবার কেউ কেউ একবেলাও খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা জানান।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত দেব। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি এলাকায় মেসে থাকেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘‘আগে যেমন ৩২ টাকায় মেসের একবেলার মিল হতো। কিন্তু এটা বেড়ে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরেকটি জিনিস দেখা গেছে যে, আগে যারা তিন বেলায় খাবার খেতো এখন তারা কেউ কেউ এক বেলা খাচ্ছেন; আবার টাকা বাঁচাতে সকালের খাবার কেউ খাচ্ছেন দুপুর বেলায়।’’
 

তিনি আরও বলেন, ‘‘অনেকেই ফ্যামেলি থেকে মেসের খরচ ও ব্যাক্তিগত খরচ বাবদ ৪ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা আনতো কিন্তু এই টাকায় তারা এখন চলতেও পারছে না। কিন্তু এই বিষয়টি পরিবারকেও বলতে দ্বিধাবোধ করছে যে, ‘তার খরচ বেড়ে গেছে’। অথচ তারা পূর্বে কম টাকা দিয়েই খরচ চালাতে হচ্ছে।’’
 

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে পড়ালেখায়ও এর প্রভাব পড়ছে বলে জানান এ শিক্ষার্থী। দীপ্ত বলেন, ‘‘আগে যারা একটি টিউশনি করাতো; এখন তাদেরকে তিনটা কিংবা চারটা টিউশনি করা লাগছে। কিন্তু এর কারণে তারা পড়ালেখায় সময় দিতে পারছে না। আবার সেই চাপের প্রভাব অনেকের মেজাজের উপড়ও পড়ছে বলে মনে করেন এই শিক্ষার্থী।

মেসে থাকা পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ইফরাতুল হাসান রাহীম, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শাওন, অনিক, গনিত বিভাগের সোহানসহ আরও অনেকেরই একই মন্তব্য।
 

নগরে টিউশনিতে প্রতারণার শিকার শিক্ষর্থীরা!
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় সিলেটে টিউশনির তেমন সুযোগ সুবিধা নেই। এর জন্য অনেকে এখন টিউশন মিডিয়ার মাধ্যমে টাকা দিয়ে টিউশনের ব্যবস্থা করে থাকেন। অনেককেই আবার শোচনীয় পারিবারিক অবস্থা তুলে ধওে, মিডিয়া ফি ব্যতিত টিউশনি চেয়ে ফেসবুক পেইজে নিয়মিত পোস্ট দিতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে তারা টিউশনি দিয়ে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন।
 

আবার যারা মিডিয়া ফি দিয়ে টিউশনি নিচ্ছেন তাদের অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। এমনি একজন প্রতারণার শিকার পেট্রেলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাকসুদুল হাসান।

তার ভাষ্য, গতমাসে অনলাইনে ‘অ্যারাইভাল টিউশন মিডিয়ার’ নামে সামাজিক একটি মাধ্যম ফেসবুক থেকে সিলেট নগরের মিরজাজাঙ্গাল এলাকায় দুই হাজার টাকার বিনিময়ে একটি টিউশনি নিই। দুই দিন পড়ানোর পর মিডিয়ার পরিচালক কল করে টিউশনিতে যেতে নিষেধ করে দেয়। বলে যে, ‘গার্ডিয়ান নাকি আর পরাবে না’ এই বলে কল কেটে দেয়। এই দিক দিয়ে গার্ডিয়ানের নাম্বার ও বন্ধ পাই। তারপর বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে জানতে পারি এরা কিছু গার্ডিয়ানের সাথে চুক্তি করে এগুলো করে থাকে।’’

‘‘পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মমিনুর রশিদ শুভও নগরের আম্বরখানায় এলাকায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান, এরকম প্রতারণার শিকার তিনিসহ আরও ৬ থেকে ৭ জন হয়েছেন। মমিনুর বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির সময়ে অর্থ সংকটে টিউশনি করাতে হয়। আমাদের টিউশনিতেই ভরসা এখন যদি আমরা এরকম প্রতারণার শিকার হই, আমাদের চলাই কঠিন হয়ে যাবে।’’
 

এছাড়া দুই মাস টিউশন করার পর শিক্ষার্থীদেরকে কোনো ফি দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে ‘অ্যারাইভাল টিউশন মিডিয়া’ নামক এই ফেসবুক গ্রুপের পরিচালক হামীম নামের একজন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যে নাম্বারে তিনি যোগাযোগ করেছেন ওই সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে সেই নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
 

সিএনজিতে চলাচলেও মোবাইল চোর চক্রের শিকার শিক্ষার্থীরা:
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাযোগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন। কিন্তু সিএনজিতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল, মানিব্যাগ কিংবা অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরকম ভুক্তভোগী অনেকেই সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি এমনকি মামলাও করছেন বলে জানা যায়। তবে এতে কোন লাভ হচ্ছেনা বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমি আর আমার এক বন্ধু নগরীর জিন্দাবাজার এলাকা থেকে ভার্সিটি গেইটে যেতে একটি সিএনজিতে উঠি। এতে পিছনের সিটে পূর্বে থেকেই দুইজন বসা ছিল। আমরা সহপাঠী সামনে বসে এবং আমি পিছনে বসি। কিন্তু ৫মিনিট সিএনজি চলার পর হঠাৎ করে পিছনের একজন বলে সিএনজি আর ভার্সিটি গেইট যাবেনা। ড্রাইভারও গাড়ি থামিয়ে আমাদেরকে নামিয়ে দিয়েছে। ততক্ষণে আমার মোবাইল পকেট থেকে নিয়ে নিয়েছে চক্রটি। রাস্তায় নেমে দেখি মোবাইল পকেটে নাই। কিন্তু সিএনজি চোখের পলকেই চলে গেছে।’’
 

এ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সিলেটের জিন্দাবাজার থেকে সুবিদবাজার পাঠানটুলা এসব সড়কে দীর্ঘদিন ধরে ‘কৌশলে মোবাইল ছিনতাই’ করে আসছে কিছু সিএনজি চালকচক্র বলে জানান ইমন। তারা ভাষ্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চক্রটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বা যারা স্থানীয় মনে হয়না (কথা বলার ধরণ দেখে), তাদেরকে টার্গেট করে থাকে। এ ধরণের ছিনতাইয়ের ঘটনা ডজনের বেশি বার ঘটেছে। জিডি করা হলেও এসব ফোনের কোনো হদিস পাওয়া যায়না। এটা যেন একটি সিন্ডিকেটের মতো।’’

শিক্ষার্থীরা বলেন, এ সিন্ডিকেট যাতে প্রশ্রয় না পায় সেজন্য নগরের প্রশাসনকে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া সিএনজিতে বিভিন্ন সময়ে নারী শিক্ষার্থীরাও হেনস্তার শিকার হন বলে ও অভিযোগ পাওয়া যায়।

এছাড়া ২০২১ সালের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এন্ড এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রী সিএনজি দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বিশ^বিদ্যালয় পাশেই ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহতও হয়েছিলেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
 

শিক্ষার্থীদের বিপাকের চিত্রে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
নগরে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ ভোগান্তির বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে নগরের পুলিশ কর্তৃপক্ষকে আরও তৎপর হতে হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদেও ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও তৎপর হওয়ার দরকার। তারা যদি নগর প্রশাসনকে বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করে তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।’’ এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য যেকোনো পরিবহণ সেক্টরে ভাড়ার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ভাড়া করার দাবি জানান তিনি।
 

শারীরিক কিংবা মানসিক দিকে শিক্ষার্থীদের উপর কিরকম প্রভাব ফেলতে পারে- জানতে চাইলে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা যখন স্কুল কলেজে থাকে, তাদের কিন্তু ওই সময়ে আর্থিকভাবে কিংবা অন্য ক্ষেত্রে পরিবার থেকে পূর্ণ সাপোর্ট পেয়ে থাকে। এ কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতে তাদের মানসিক দৃঢ়তা সেভাবে গড়ে ওঠেনা। এরপরে শিক্ষার্থীরা যখন পরিবার থেকে দূরে থাকে, বিশ^বিদ্যালয়ে আসে, তখন মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো তাদেরকে আর্থিকভাবে সাপোর্ট করতে পারে না। এজন্য শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য হয়েই টিউশনি করাতে হয়। অনেক সময় তারা টিউশন কিংবা টাকা ইনকামের কোনো সোর্স পায় না। এ কারণে তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়। মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়। তার প্রভাব লেখাপড়ায় পড়ে। কেউ আর্থিক সংকট ও হীনমন্যতায় আত্মহত্যার বেছে নেয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন। সেই সাথে তাদেরকে বিকল্প কোনো ব্যবস্থার সন্ধান করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আধুনিক সময়ে ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমকে আয়ের পথ হিসেবে নিতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাষ্য কী?
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম সিলেটভিউ-কে বলেন,‘‘সিনএনজিতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল চুরিসহ আরও অনেক ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমরা সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। এছাড়া সিলেট নগরের কিন ব্রিজ এলাকায় অনেক চুরি, ছিনতাই ও জুয়ার মত ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে এ ব্যাপারে গত ২০ ফেব্রুয়ারি পুলিশ প্রশাসনকে আমরা অবহিত করেছি। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
 

টিউশনিতে প্রতারণা এবং যাতায়াতে চুরির শিকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন এটাকে ‘বিছিন্ন’ ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ঘটছে। তবে এ ব্যাপারে আমি শুনেছি। টিউশনির ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে কেউ যদি বলে আমাদের জায়াগা থেকে চেষ্টা করবো।’’ এছাড়া যাতায়াতের ক্ষেত্রে যানবাহনে ভোগান্তি বিষয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে মেয়েরা বেশি ভোগান্তির ও হেনস্তার শিকার হচ্ছে।’
 

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।

শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে সিএনজিতে চুরির শিকার কিংবা টিউশনিতে প্রতারণার বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘‘যারা হেনস্তা কিংবা প্রতারণার শিকার হচ্ছে তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / নোমান / ডি.আর / এসডি-১০