সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর অংশে নোয়াপাড়া, জগদিশপুর, দরগা গেইট, রতনপুর এলাকায় সহ মহসড়কে দাবড়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি। হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই মহাসড়কে এসব সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে বলে জানা যায়। সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ যে কয়েকটি মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে তার মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অন্যতম।
মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা জারির পর মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশার চলাচল কিছুটা বন্ধ হওয়ার কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর অংশে দুর্ঘটনার হার অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু এখন আবার মহাসড়কের চলাচল করছে সিএনজি অটোরিকশা। গত তিন মাসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর অংশে ১১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক জানান, কিছু সিএনজি মহাসড়কে প্রতিদিন বীরদর্পে চলাফেরা করেছে। এসব সিএনজির পিছনে বিভিন্ন রকম স্টিকার লাগানো রয়েছে। এগুলোকে দেখে ও না দেখার ভান করে থাকে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ। কিন্তু আমাদের বেলা আইনটা বিপরীত।
২০১৬ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞার পরও বন্ধ হয়নি সিএনজি শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে মহাসড়কএলাকা। নিষেধজ্ঞাকে রীতিমত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন দেদারছে চলছে মহাসড়কে এসব অবৈধ যান। বিভিন্ন স্টিকার লাগানো সিএনজি মহাসড়কে অবাধেই চলছে । কোথাও কোন পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ তাকে বাধা দেয় না। সরেজমিন দেখা যায়, কিছুক্ষণ পর পর একটি-দুটি করে সিএনজি মাধবপুর উপজেলা সদর থেকে থেকে ওলিপুর গেট পর্যন্ত অবাধে চলছে সিএনজি অটো রিক্সা। গাড়িগুলো এমন ভাবে চলছে দেখলে মনে হয় না গাড়িগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বা বাঁধা দেবার কেউ রয়েছে। ২০ মিনিট সময়ে অন্তত ১৮-২০টি সিএনজি অটোরিকশা নির্বিঘ চলতে দেখা যায়। বেশির ভাগ সিএনজি অটোরিকশার কোনো নম্বর প্লেট নেই। আবার নিয়ম না মেনে উল্টো পথে চলছে। মাঝে মাঝে কিছু সিএনজি আটক করে হাইওয়ে পুলিশ।আটককৃত সিএনজি নিয়ে যায় হাই হাইওয়ের রাস্তার পাশে আবু মিয়ার গ্রেজে। কিছু মামলা হয় আবার দেখা যায় কিছু চলেযায়।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. মইনুল ইসলাম ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি জানান প্রতিদিন আমারা সিএনজি আটক করে মামলা দিতেছি। আবু মিয়ার গ্যারেজে সিএনজি আটক রাখার বিষয়টি বৈধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সম্পূর্ণ বৈধ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/শামীম/ইআ-০৩