দুদকের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের আইনজীবী দিয়ে আইনি লড়াই চালানোর সুযোগ নেই। পলাতক কারণে এই দম্পতির আইনি লড়াই চালাতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ আমিন উদ্দিন।
লন্ডন থেকে আইনি লড়াই করতে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদন করেন তারেক-জোবায়দা দম্পতি। আবেদনটির শুনানি শেষে রবিবার (০৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত আগামী বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ধার্য করেন।
এক-এগারোর সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর পক্ষে এই মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত ২৯ মার্চ আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। সেদিন আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল ধার্য করেন।
দুদকের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া, সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
পরে ওই বছর তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আলাদা রিট আবেদন করেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
নানা আইনী জটিলতায় আটকে ছিলো মামলাটি। সম্প্রতি হাইকোর্ট তাদের সম্পদের মামলার বৈধতা প্রশ্নে তিনটি রিট ও রুল খারিজ করে দেন। পাশাপাশি নিষ্পত্তির আদেশও দেন আদালত। ১৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা এ মামলায় তারেক ও জোবাইদাকে পলাতক আসামী হিসেবে মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০৭