জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পত্রিকাটি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে একটা শিশুর হাতে দশ টাকা দিয়ে মিথ্যা খবর ছাপিয়েছে। এরা আওয়ামী লীগ, দেশ ও জনগণের শত্রু।
 

সুবর্ণজয়ন্ত্রী উপলক্ষে সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।



স্বনামধন্য এক পত্রিকা, খুবই পপুলার, নাম তার প্রথম আলো কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে আর এখন দেখা যায় দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাদের পক্ষ হয়ে তারা ওকালতি করে যাচ্ছে। আর গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটি সরকারকে আনতে যাচ্ছে যার গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্বই থাকবে না, অগণতান্ত্রিক ধারা।

তিনি বলেন, ভাত, মাছ, মাংসের স্বাধীনতা চাই–একটা ছোট শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে এমন মিথ্যা কথা বলানো হলো! আর সেই কথা রেকর্ড করে প্রচার করা হলো। আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, তারা এ দেশে কখনো স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়, তখন তারা উৎফুল্ল হয়। দুটি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেল। বাহবা কুড়াল। আর তার সঙ্গে আছেন একজন সুদখোর। সে আবার যুক্তরাষ্ট্রের খুবই প্রিয়। যুক্তরাষ্ট্র একবারও জিজ্ঞাসা করে না যে, ব্যাংক (গ্রামীণ ব্যাংক) একটা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলত যে এমডি, সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পেল যে যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করছে; বিনিয়োগ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র কোথায় প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা বিদেশে পাচার করে শতকোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে মানবতার কথা শুনতে হয়। তারা আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যান। তারা এ দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।

অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল হচ্ছে জাতীয় সংসদ। সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের মুখ থেকেও গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে এসে নাকি কিছুই দেয়নি। দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, আমরা রক্ত দিয়ে সংগ্রাম করে স্বাধীনতা এনেছি। এই স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। আমরা নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসিনি। নিশ্চয়ই দেশবাসী বিশ্বাস করে যে ১৪ বছর একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে পেরেছি।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-১