জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার এবং সুশাসনের পক্ষে কথা বললেই তাকে দেশের শত্রু ও জনগণের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা সরকারের জপমন্ত্রে পরিণত হয়েছে।


অতি সহজেই ভিন্নমত ও পথের নাগরিকদের বা সমালোচনাকারীদের বা গণমাধ্যমকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ও নির্ধারণ করে ফেলার সরকারের মানসিকতা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। এই ধরনের রাজনৈতিক ডিসকোর্স বিশ্বে বিরল। এই সব বক্তব্য আইনের শাসনকে চরমভাবে বিপজ্জনক করে তুলবে।


মঙ্গলবার তার উত্তরাস্থ বাসভবনে গণবিরোধী রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থার স্থলে গণমুখী শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনে আন্দোলন সংগ্রামের লক্ষ্যে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদর (এসএসপি) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রব বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে, বৈদেশিক রিজার্ভ বাড়ছে, জিডিপি বাড়ছে, সব কিছুর মূলে শ্রমজীবী মানুষ, অথচ শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্র মৃত্যুবরণ করছে, চাকরিচ্যুত হচ্ছে, অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে, বেআইনি শাস্তির শিকার তবুও শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার, বেতন-ভাতার পাশাপাশি নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। রাষ্ট্র পরিচালনায় শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণ এখন সময়ের অনিবার্য দাবি হয়ে উঠেছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা মোশারফ হোসেন, আবদুর রহমান, বাচ্চু ভূঁইয়া, হারুন- অর -রশিদ, নুর আহম্মদ সেলিম, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ সোহেল শিকদার, হানিফ বাংলাদেশি, এম. এ. আউয়াল ও মোশারেফ হোসেন মন্টু প্রমুখ।

সভায় সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ তাদের ১৮ দফা দাবি ও কর্মসূচি উত্থাপন করেন।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৩