গত বছরের ৬ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে গাড়ি আটকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামালকে। হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মহানগর যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান সম্রাট।
 

এ ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছিল সিলেটের রাজনীতি। ৬ নভেম্বর হত্যাকান্ডের রাতে এ ঘটনার জের ধরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা উপলক্ষে টানানো তোরণ, ব্যানার ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের ব্যানার ফেস্টুন ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ।
 


কামাল হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিলেও শেষ পর্যন্ত নিরব রয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের পর র‍্যাব-পুলিশ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করলেও প্রধান অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান সম্রাট এখনো অধরা রয়েছে। সে দেশে আছে কি-না সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নয় পুলিশ।
 

বর্তমানে এ ঘটনায় দুই আসামী অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন নেন। কিন্তু এখনো অধরা রয়ে গেছে প্রধান আসামী আজিজুর রহমান সম্রাট। তাকে ধরতে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়েছিল র‍্যাব-পুলিশ। কিন্তু তাকে ধরতে পারেনি। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমেও তার অবস্থান সনাক্ত করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
 

এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান সম্রাটকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামী করে মামলা দায়ের কার হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পর র‍্যাব-পুলিশ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করলেও সম্রাটকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। সম্রাটকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার কারা হলেও কোনোভাবেই তার অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাকে গ্রেফতারে সোর্স লাগানো হয়েছে। দেশ থেকে যাতে পালাতে না পারে সেজন্য সকল ইমিগ্রেশনেও বার্তা পাঠানো রয়েছে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত /এসডি-১৩