দিন কিংবা রাত, চলছে পাহাড় ও টিলার বুকে আঘাত। পরিবেশের ক্ষতি কিংবা আইন কোন কিছুরই নেই তোয়াক্কা। সিলেটের জৈন্তাপুরে গোয়াবাড়ীর আশ্রয়ন প্রকল্পসহ আশপাশের পাহাড় ও টিলা কেটে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে পাথরখেকো চক্র । উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও চক্রটি রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ওই এলাকায়।
 

সরজমিনে দেখা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলা গোয়াবাড়ীতে মুজিববর্ষের উপহারের নতুন ঘর, পুরাতন আশ্রয়ন প্রকল্প এবং গোয়াবাড়ীর বিভিন্ন ছোট বড় টিলা কর্তন করে পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা দিন রাত পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। অব্যাহত পাথর উত্তোলনের ফলে গোয়াবাড়ী এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল আহমদ, সেলিম আহমদ, বদর মিয়া, কামাল মিয়াসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই এ প্রতিবেদকে বলেন, কাজকর্ম না থাকার কারণে অনেকেই গোয়াবাড়ী হতে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা না ভেবে মানুষকে আগে বাঁচার  সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ জানান তারা।

শ্রীপুর কোয়ারী থেকে কাগজে কলমে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও সেখান থেকে পাথর তোলা হচ্ছে।  সেখানে বড় বড় ব্যক্তিদের প্রভাবে পাথর তোলা হচ্ছে, সেখানকার সংবাদ প্রকাশের পরামর্শ দেন গোয়াবাড়ি থেকে পাথর উত্তোলনকারীরা। একইসাথে গোয়াবাড়ী এলাকার কোন প্রকার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ না করতে প্রতিবেদককে নিষেধ করেন তারা।
 

নাজমুল ইসলাম, হাসান মোহাম্মদ বদরুল, আমিনুর রহমান, সাব্বির আহমদ নামের অপর কয়েকজন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে গোয়াবাড়ী হতে যেভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে পুরো উপজেলায় বড় ধরণের পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এখনই পাথর উত্তোলন বন্ধ করা উচিত।

 

সহকারি কমিশনার (এসিল্যান্ড) রিপামনী দেবী বলেন, ‌‘আমি দুদিন আগেও অভিযান পরিচালনা করে উত্তোলিত পাথর নিলামে বিক্রয় করেছি। পাথর উত্তোলন নিয়ে উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছি। পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে দিনরাত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে৷ পাথর উত্তোলন বন্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/সাব্বির/পিডি/পল্লব-১২