জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকে’র সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব।
 

রবিবার সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি এমদাদুল হক রেজিষ্ট্রি ডাক যোগে এই লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশে ফৌজধারী আইনের অপরাধ, মানহানীসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
 


লিগ্যাল নোটিশ সূত্রে জানা যায়, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি সি এম কয়েস সামি, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ৯ মার্চ ২০২৩ খ্রী: তারিখে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকে’র কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ইউকে’র সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিবের নামে একখানা পত্র প্রেরণ করেন। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রী: এসোসিয়েশনের আন্তুর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মজিদ চৌধুরী মিন্টু আরেক পত্রে জালালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকে’র সভাপতির কাছে কতিপয় বিষয় নিয়ে সতর্ক নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশ পাওয়ার পর জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকে’র সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব ঢাকার সভাপতি সম্পাদক বরাবরে ৭ জানুয়ারী ২০২৩ খ্রী: তারিখে পাল্টা পত্রের মাধ্যমে পত্রের বৈধতা এবং এর জবাবদিহীতা দাবী করেন। কিন্তুু এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কোন উত্তর না দেওয়া হয়নি।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি এমদাদুল হক জানান, রোববার ডাক যোগে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি সি এম কয়েস সামি, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মজিদ চৌধুরী মিন্টুর নামে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। ৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজধারী আইনের অপরাধ, মানহানীসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে।
 

নোটিশে তাঁর আইনজীবি উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের বাহিরে অন্য কোন দেশে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা-র সহযোগী সংগঠন খোলা, পরিচালনা কিংবা কোন প্রকার অনুমোদন-অনুমতি প্রদান করার ক্ষমতা নেই। তাই সংস্থার সংবিধানিক অধিকার লঙ্গন করে বিগত ১৭ জুলাই ২০১৭ খ্রীঃ তারিখের জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউ-কে অনুমোদন এবং পরবর্তীতে বিগত ৯ মার্চ ২০২৩ খ্রীঃ তারিখে উপযাজকীয় কর্তৃত্ব সম্বলিত প্রেরিত পত্র সংস্থার সংগঠনের পরিপন্থী।
 

লিগ্যাল নোটিশে অভিযুক্ত ৩ জনকে ১৫দিনের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যতায় ১০ কোটি টাকার মানহানীসহ নানা অপরাধে মামলা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-০১