মেঘালয়ের পাদদেশে প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে অপরূপ লীলা ভূমি খ্যাত সিলেটের জৈন্তাপুর ও জাফলং৷ সবুজ সমারোহ বেষ্টিত সীমান্তবর্তী উপজেলা জৈন্তাপুর- গোয়াইনঘাট। ছায়া সুনিবিড় ছোট ছোট পাহাড় আর স্বচ্ছ জলের নদী ও ছড়ায় সমন্বয়ে জৈন্তাপুর-জাফলং। দীর্ঘকাল ধরে এই জনপদ তাই পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় জায়গা।
ঈদ উপলক্ষে লালাখাল-জাফলং গড়ে তুলা হয়েছে সবুজ শ্যামল আর অপরূপ সাজে সজ্জিত করে। প্রাচ্যের রাণী সিলেটের নীল নদ খ্যাত সারী নদী, জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট৷ এসব নিয়ে কবি সাহিত্যিকরা রচনা করেছেন শত সহস্র কবিতা, গান আর গল্প। মনের মাধুর্য দিয়ে শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় এঁকেছেন অপরূপ ছবি।
সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী জনপদ জৈন্তাপুর। এক সময় জৈন্তিয়া একটি স্বাধীন রাজ্য নামে পরিচিত ছিল। কালের বিবর্তনে জৈন্তিয়া রাজ্য আজ প্রাকৃতিক শোভা মন্ডিত পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় স্থান হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত।
সিলেট থেকে জৈন্তা-জাফলং যাত্রা শুরু করলেই দেখা যাবে মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সবুজের সমারোহ ও খাসিয়া জৈন্তা পাহাড় বেষ্টিত জৈন্তাপুর জাফলংয়ের অপরূপ সৌন্দর্য্য ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিলিয়ে দিচ্ছে।
প্রকৃতিগত ভাবে এঁকেবেঁকে যাওয়া সড়ক উঁচু-নিচু পাহাড় আর পাহাড়ী নদী ঘেষা ঝর্ণা, সেই সঙ্গে রয়েছে নীলনদ নামে পরিচিত সারী নদীর স্বচ্ছ জলরাশী। এসব দৃশ্য বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণীয় বিশেষত রূপের নগরী জাফলংয়ের সৌন্দর্য্য।
সিলেটে বেড়াতে আসা মানে সারী-জাফলং, বিশ্ববিখ্যাত পর্যটকরা বাংলাদেশে ভ্রমনে আসলে এ দুটি স্থানে না আসলে তাদের ভ্রমণের পিপাসা যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সবুজ পাহাড় গভীর অরণ্যের মিলনমেলা শুধু এখানেই দেখা যায়। এখানকার পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বাক্ষণিক নিয়োজিত ট্যুরিষ্ট পুলিশ। প্রাচ্যের রাণী জাফলংয়ের সৌন্দর্য রক্ষায় স্থানীয় এমপি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
প্রকৃতিকন্যা জাফলং-নীলনদ সারী নদী নিয়ে সিলেটে গর্ব, সিলেটের এই জনপদকে ঘিরে রয়েছে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে ভ্রমনে আসা পর্যটকদের নানান সুবিধা দিতে উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এবং পর্যটন কেন্দ্রিক সংঘঠন গুলো এসব স্থান সাজ-সজ্জায় সজ্জিত করেছে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ঈদের আগের দিন থেকে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় থাকবে, সড়কের যানজট নিরসনে তামাবিল সড়কে থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে থাকবে। পর্যটকবাহী গাড়ি গুলো জাফলং গেলেও আমাদের হিমসিম খেতে হয়।
জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) রিপামনি দেবী জানান, ঈদে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য উপজেলা প্রশাসন সারী-লালাখাল নৌকা মাঝিদের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও আনন্দদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পারে। সিলেট তামাবিল মহাসড়কে ঈদে পর্যটকদের নিয়ে আসা গাড়িগুলো নিরাপদে চলাচলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/সাব্বির/এসডি-০৯