অবিশ্বাস্য বললেও হয়তো কম বলা হবে! 
 

আইপিএল সাক্ষী হলো আরেকটা দুর্দান্ত ম্যাচের। পিছিয়ে থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন বিজ্ঞাপন হয়ে থাকল গুজরাট টাইটান্স। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে ৭ রানে হারাল গুজরাট। বলা ভালো কেএল রাহুলের লখনৌয়ের কাছ থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিল হার্দিক পান্ডিয়ারা।
 


অনায়াস জেতার মতো ম্যাচ ছিল লখনৌয়ের জন্য। লো স্কোরিং প্রতিরোধহীন ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ দেখতে বসে গ্যালারিতেও হয়তো কেউ অলস সময় কাটাচ্ছিল। কিন্তু এমন ম্যাচই হঠাৎ জমল। গড়াল শেষ ওভার পর্যন্ত। জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে লখনৌয়ের চাই ১২ রান। উইকেটে তখনো দিনের সর্বোচ্চ স্কোরার রাহুল। তবে বল হাতে আরেকবার জাদু দেখালেন মোহিত শর্মা। অভিজ্ঞ এই পেসার শুরুর ৩ বলে দুই উইকেট নিয়ে কার্যত ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছিলেন। এরপর আরও দুটি রানআউটে লখনৌয়ের কফিনে শেষ পেরেকটাও ঠুকে যায়। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় কার্যত হারতে বসা ম্যাচ জিতে নিল গুজরাট।
 

শনিবার (২২ এপ্রিল) ঘরের মাঠে রাহুলদের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাটকে মাত্র ১৩৫ রানে আটকে দেওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই এগোচ্ছিল লখনৌ’র ইনিংস। জয়টা ভাবা হচ্ছিল সময়ের অপেক্ষা কেবল। কিন্তু কে জানতো এদিন চিত্রনাট্যটা এমন বদলে যাবে!
 

ক্যারিবীয় দানব কাইল মায়ার্সকে নিয়ে ঝোড়ো শুরু করেন রাহুল। দলীয় ৫৫ রানের মাথায় মায়ার্স (২৪) রানে ফিরলেও ক্রিজে জমে যান রাহুল। তবে শেষ ওভার পর্যন্ত থেকেও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারলেন না রাহুল। মোহিত শর্মার বলে জয়ন্ত যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। আউট হওয়ার আগে করেন ৬১ বলে ৬৮ রান। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট করে পান মোহিত ও নুর আহমেদ।
 

একা লড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারলেন না রাহুল।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ছন্দে থাকা শুভমান গিল। তাকে শূন্য রানে ফেরান ক্রুণাল পান্ডিয়া। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এবং ঋদ্ধিমান সাহা। লখনৌয়ের মন্থর পিচে অবশ্য ধীরেসুস্থেই এগোচ্ছিলেন তারা দুজন। আসরের প্রথম অর্ধশতরান হয়ে যেতে পারত ঋদ্ধির। অল্পের জন্য তা হয়নি। ৩৭ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন। অফস্টাম্পের বাইরে লোপ্পা বল ফেলেছিলেন ক্রুণাল। ঋদ্ধি ছয় মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শটে জোর ছিল না। লং অনে সহজ ক্যাচ নেন দীপক হুডা।
 

ঋদ্ধি যাওয়ার পরের ওভারেই অভিনব মনোহরকে হারায় গুজরাট। বড় রান করতে পারেননি বিজয় শঙ্করও (১০)। এই অবস্থায় দলের রান তোলার ভার নিজের কাঁধেই তুলে নেন হার্দিক। শেষের দিকের ওভারগুলোতে বোলারদের ওপর চড়াও হন গুজরাট কাপ্তান। রবি বিষ্ণোইয়ের ১৮তম ওভারে ওঠে ১৯ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলেই মার্কাস স্টয়নিসকে ছয় মেরেছিলেন হার্দিক। তবে দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান। তবে সাজঘরে ফেরার আগে ৫০ বলে ৬৬ রান করে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন ঠিকই।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-১৬


সূত্র : ঢাকাপোষ্ট