ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উদুপি কলেজে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এর জেরে পুরো রাজ্যে হিজাব আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। সেই আন্দোলনে অংশ নেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। তাদেরই একজন ছিলেন তাবাসসুম শাইক।
 

হিজাব আন্দোলনের কারণে ১৮ বছর বয়সী তাবাসসুমের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। রাজ্য সরকার হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করার পর কয়েকদিন ক্লাসে যাওয়ার বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাবার কথায় আবার পড়ালেখা শুরু করেন তাবাসসুম। সেই তাবাসসুম এবার কর্ণাটকের দ্বাদশ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় (পিইউসি) প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
 


গত ২১ এপ্রিল পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে কলা বিভাগের পরীক্ষায় ৬০০ পয়েন্টের মধ্যে ৫৯৩ পয়েন্ট অর্জন করেন তিনি। তাবাসসুম হিন্দি, মনোবিজ্ঞান এবং সমাজ বিজ্ঞানে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ১০০ পয়েন্টই অর্জন করেন।
 

সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তাবাসসুম জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের জারি করা নিয়ম মেনে হিজাব খুলে প্রথমে ক্লাস করতে কষ্ট হতো তার। কিন্তু তার বাবা তাকে বোঝান যদি হিজাবের কারণে তিনি আর ক্লাসে না যান তাহলে তিনি ও তার সম্প্রদায় আরও পিছিয়ে যাবে। বাবার এমন কথা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজের পড়ালেখা চালিয়ে যান তিনি। যার ফলাফল পেয়েছেন দ্বাদশের পরীক্ষায়।
 

তাবাসসুম জানিয়েছেন, তিনি খুব ছোটকাল থেকেই হিজাব পরিধান করেন। যখন এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তখন বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি এখন সামলে নিয়েছেন। তবে তার ভয় হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও তাকে হিজাব পরতে বাঁধা দেওয়া হয় কিনা।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-০৫


সূত্র : ঢাকাপোষ্ট