সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আলোচিত শাকিব হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে বুলবুল আহমদ নামে এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামী বুলবুল তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। শুক্রবার মধ্য রাতে তাহিরপুর উপজেলার পাশ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ার খলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।


পুলিশ জানায়, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাহিরপুর থানার পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাহিরপুর উপজেলার পাশ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রাম থেকে শুক্রবার মধ্য রাতে বুলবুল আহমদকে গ্রেপ্তার কওে পুলিশ। শনিবার সকালে কোর্ট হাজতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।



প্রসঙ্গত, গত সোমবার মধ্যরাতে সাকিব (২৫) নামে এক যুবককে রাস্তা থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে হাত পা ভেঙ্গে পিটিয়ে হত্যা কওে প্রতিপক্ষ মোশারফ তালুকদারের লোকজন। নিহত সাকিব উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া টেকেরগাঁও গ্রামের মজিবুর রহমান ওরপে ভাটি মজিবুরের ছেলে। এই নিয়ে নিহতের পিতা উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ও ঘাগটিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন তালুকাদরকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরোদ্ধে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন তালুকদারের সঙ্গে একই গ্রামের মজিবুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দন্ধ চলে আসছিল। ইতিপূর্বে দু'পক্ষের মধ্যে আরও কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটেছে। দু'পক্ষের মধ্যে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। গত সোমবার সন্ধার দিকে নিহত সাকিব বাড়ি থেকে চক বাজারে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আসে। রাত ১ টার দিকে সাকিবের পিতা মজিবুর রহমানের কাছে ফোন আসে সাকিব কে মোশারফ তালুকদারের বাড়িতে মারপিট করছে। খবর পেয়ে মজিবুর রহমান গ্রামের তৃতীয় পক্ষের দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে মোশারফ তালুকদারের বাড়িতে যেয়ে তার ছেলেকে ফেরত চান। মোশারফ তালুকদারের লোকজন সাকিবকে তার পিতার কাছে না দিয়ে উল্টো মজিবুর রহমানকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে সংবাদ পেয়ে রাত দুইটার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মোশারফ তালুকদারের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাকিবকে উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মোশারফের লোকজন তাকে প্রথমে রাতে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। পরে এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার অবস্থা বেগতিক দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রেরন করে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গত মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকধীন অবস্থায় সাকিব রহমানের মৃত্যু হয়। 


সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ্ বলেন, পুলিশের বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করছে। আসা করছি দ্রæত সময়ের মধ্যে শাকিব হত্যা কান্ডের সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/রাজ্জাক/ইআ-১১