নিজের চেষ্টায় গ্রামীণ নারীরা স্বাবলম্বী হবেন। তাই নির্মাণ করা হয়েছিল মহিলা মার্কেট (ওমেন্স কর্ণার)। নারীর উন্নয়ন আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ও চৌমুহনী ইউনিয়নে এই উদ্যোগ। পুরুষদের পাশাপাশি ব্যবসা করে হয়ে উঠবেন নারী উদ্যেক্তা। আর এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী হবে।কিন্তু নির্মাণের ৮ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হস্তান্তর করা হয়নি মহিলা মার্কেটটি। এদিকে মার্কেটটি পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে। এতে সরকারি উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।

 


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের নারীদের উন্নয়নের জন্য সরকার মাধবপুর উপজেলায় এলজিইডি বিভাগের অধীনে ২০১৪ সালের ১২ এপ্রিল গোলাম ফারুক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। অফিস কার্যাদেশ নিয়ে ১৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ২ শত ৪৯ টাকা ব্যয়ে নোয়াপাড়া বাজারে ভবন নির্মাণ করে দেন। ১৪-১৫ অর্থ বছরে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাছে ভবনের কাজ বুঝিয়ে দিয়ে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন বিল উত্তোলন করেন। অপর দিকে এলজিইডি বিভাগের অধীনে গত ২০১৪ সালের ১২ এপ্রিল অর্থ বছরে মেসার্স মুক্বুল কনস্টাকশন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। তারা কার্যাদেশ নিয়ে ১৯ লক্ষ ৫২ হাজার ২ শত ৫০ টাকা ব্যয়ে চৌমুহনী বাজারে মহিলা মার্কেট ভবন নির্মাণ করে দেন। ১৪-১৫ অর্থ বছরে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাছে ভবনের কাজ বুঝিয়ে দিয়ে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন বিল উত্তোলন করেন। মাধবপুর উপজেলা এলজিডি কতৃপক্ষ  জানান ১৪-১৫ অর্থ বছরে মার্কেট দুটি বাজার কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্তু আট বছর পার হলেও ভবনের রুমগুলো সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর হয়নি। সুবিধাভোগিরা ঘর বরাদ্দ পাওয়ার আশায় সংশ্লিষ্ট যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে ধর্না দিয়ে আসলেও পাচ্ছে না বরাদ্দের ঘর। কবে পাবেন তাও কেউ জানে না। 

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান  জানান, এতদিন ধরে এই মার্কেট গুলো কেন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এটি অত্যান্ত দুঃখ জনক। আমি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে বলব কেন এতদিন ধরে মার্কেট বুঝিয়ে দিয়ে কার্যক্রম চালু হচ্ছে না। মূল কারণ কি। মার্কেটগুলো খুব শীঘ্রই চালু করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম জানান বিষয়টি আমি খুজ নিয়ে দেখব কেন মার্কেট দুটি বুঝিয়ে দেওয়ার পরও চালু হচ্ছে না। 

 

চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, এই বিষয়ে আমি উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে বলেছি। কেন দেওয়া হচ্ছে না এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারব না। কিন্তু আমার জোর দাবী অতি শীঘ্রই মার্কেট টি যেন বরাদ্দ দেয়।  নোয়াপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল জানান দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যবহার হচ্ছেনা। আমি পরিষদে নতুন এসেছি খোজ নিয়ে দেখব কেন চালু হচ্ছে না। তবে আমিও চাই এই মার্কেট টি চালু হোক।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/শামীম/মাহি