জাতীয় দল কমিটির সভা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তদন্ত কমিটির সভা। এই সভা চলছে দুই ঘন্টার বেশি সময়। আজকের সভার পর থেকে ত্রিশ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।
 

আজ প্রথম সভার পর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, 'আমরা প্রথম সভায় মূলত কার্যপরিধি ও পন্থা নিয়ে আলোচনা করি। সামনে আরো কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। তদন্তাধীন অবস্থায় অনেক বিষয় আপনাদের (মিডিয়ায়) বলা যাবে না, আবার মাঝে মধ্যে আপনাদের অবহিত করব।'
 


ফিফা ২০১৭-২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের আর্থিক বিষয়ে তদন্ত করেছে। সেই তদন্তে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিয়েছে। বাফুফের তদন্ত কমিটি সেই রিপোর্টের আলোকেই কাজ করবে। ফিফার রিপোর্টকে ভিত্তি ধরে কাজ হবে। সেই রিপোর্টে যাদের নাম এসেছে তাদের তলব করা হবে সামনের সভাগুলোতে।সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে তদন্তের কাজে ডাকা হবে না বলে জানান কাজী নাবিল, 'তাকে আমরা ডাকব না। তার ব্যাপারে ফিফা ও বাফুফের বোর্ড উভয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে’।
 

যারা অভিযুক্ত তাদের তদন্তকালীন সময় দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়ার কথা একবার শোনা গিয়েছিল। তবে আজকের সভা শেষে তদন্ত কমিটির আহ্ববায়ক বলেন, 'সামনে তাদের ডাকা হবে এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব তারা দায়িত্বরত থাকবে না তদন্ত অবস্থায় অব্যাহতি প্রদান করা হবে।’
 

ফিফা সোহাগকে মূলত চারটি বিষয়ের জন্য অভিযুক্ত করেছে। সেই চারটি বিষয়ের মধ্যে দু’টি বিষয় জাতীয় দল সংক্রান্ত। বিমান টিকিট ক্রয় ও জার্সি কেনা। তদন্ত কমিটির আহ্ববায়ক কাজী নাবিল জাতীয় দল কমিটিরও চেয়ারম্যান। জাতীয় দলের কেনাকাটায় বাফুফের অফিস স্টাফদের পাশাাপশি নির্বাহী কমিটির নজরদারি থাকবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'এই জন্যই তো তদন্ত করা। আমরা তদন্ত করে একটি পর্যবেক্ষণ বা সুপারিশ প্রদান করব।'
 

ফিফার রিপোর্টে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদীর নামও এসেছে। ফিফা থেকে তিনিও শোকজ পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সালাম মুর্শেদীকে তলব করা হবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে নাবিল বলেন, 'প্রয়োজনে তার সঙ্গে আলাপ করা হতে পারে।'
 

গত ১৪ এপ্রিল ফিফার এক বিজ্ঞপ্তির পর উত্তাল হয়ে ওঠে দেশের ফুটবলাঙ্গন। আর্থিক অসঙ্গতির বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই ঘটনার তিন দিন পরেই বাফুফে দশ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি থেকে দুই সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহী পদত্যাগ করেন। ফলে কমিটি এখন ৮ সদস্য বিশিষ্ট। আজ প্রথম সভায় ইমরুল হাসান ও ইলিয়াস হোসেন ব্যস্ততার জন্য উপস্থিত হতে পারেননি। কমিটির আরেক সদস্য বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-১৩৫


সূত্র : ঢাকাপোষ্ট