শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে ৪টি একাশিয়া গাছ কেটে শিক্ষার্থীদের সমালোচনা ও ক্ষোভের মুখে নতুন করে সে স্থানে ২০টি ফলদ চারা রোপণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সংলগ্ন সড়কের পাশে থাকা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৪টি গাছ সিলেট বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই কেটে ফেলা হয়।
এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ জানালে পরের দিনে শুক্রবার সেই স্থানে ২০টি ফলদ চারাগাছ রোপণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেইট শাখার প্রধান অধ্যাপক ড. রোমেল আহমেদ।
নতুন করে আম, জাম, কাঁঠাল ও সাজনা গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, গত কয়েকদিন ধরেই প্রাকৃতিক ঝড়ে ভেঙে পড়তে পারে ক্যাম্পাসের এমন ডালপালা ছাটাই শুরু করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হঠাৎ করে ডালপালা ছাটাইয়ের নাম করে ঝুঁকিপূর্ণ দাবিতে ৪টি গাছও কেটে ফেলা হয়। এতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় হাঁটার সময়ে এ গাছগুলো ছাতার মত রোদের আলোয় ছায়া দিতো। এ ছায়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে অনেকে সড়কের পাশে থাকা বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে খেলাও দেখতো। কিন্তু এ গাছগুলো কাটার কারণে এখন রোদের তাপে অতিষ্ঠ হতে হবে। তাছাড়া গাছ কাটা ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য হুমকি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
সরকারী স্থানের গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয়; কিন্তু শাবিতে গাছ কাটার ক্ষেত্রে বন বিভাগের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেইট শাখার প্রধান এবং বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রোমেল আহমেদ ‘সিলেট ভিউ’কে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ কারণে জরুরি ভিত্তিতে এই কয়েকটি গাছ কাটতে হয়েছে। তাই অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ গাছগুলোর ভিতরের অংশ ফাঁপা ও রোগাক্রান্ত।’
তবে বন বিভাগকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল বলে জানান তিনি।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/নোমান/এসডি-১৩৯