সিলেটের বিয়ানীবাজারের পর এবার গোলাপগঞ্জেও বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
 

রবিবার (৭ মে) গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌর শহরে করতে না পেরে পরে ঢাকা দক্ষিণ বাজারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান করেন।
 


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেট-৬ আসনের বিএনপি সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী।

এসময় তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী দিয়ে হামলা-মামলা-নির্যাতন করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারের পতনের সময় ঘনিয়ে এসেছে, তাই সরকার এমন সন্ত্রাসী আচরণ করছে। আর বেশিদিন নয়, জনগণ টেনে-হিঁচড়ে এ জালিম সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবে।
 

জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি তাদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান রবিবার দুপুরে পৌর শহরের ইসলাম ব্রাদাস কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করেছিলো। কিন্তু থানা পুলিশ সে আয়োজনে বাধা দেয় এবং সেন্টারটি তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে এ সেন্টারে করতে না পেরে নেতাকর্মীরা ঢাকাদক্ষিণ বাজারে গিয়ে বিকেলে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান করে।
 

এক পর্যায়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি প্রতিবাদ সভায় রুপ নেয়। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এসময় সেখানে বিক্ষোভ করেন এবং পুলিশের এমন ‘কর্মকাণ্ডের’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
 

ঢাকা দক্ষিণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নোমান উদ্দিন মুরাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফয়সল, আশফাক আহমদ চৌধুরী, কিবরিয়া আহমদ, কফিল উদ্দিন, বদরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাসান ইমাদ, মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম আলো, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল মাষ্টার, জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য লিটন আহমদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহি উদ্দিন রুবেল, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক এম এ আশিক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালিক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন, শাহাজাহান আহমদ, আবুল কালাম খুকন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কামাল আহমদ, জুবেল আহমদ, মুন্না আহমদ, উপজেলা যুবদলের সদস্য জিয়া, সালাউদ্দিন, আব্দুল আহাদ, রাজন আহমদ, মহসিন আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সদস্য মো. কয়েছ আহমদ, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আতাউর রহমান উতু, সাধারণ সম্পাদক মুহিব হোসেন, বাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কলিম মিয়া, সহ সভাপতি বদরুল আলম, আমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সভাপতি ললু মিয়া সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফার কুটি, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপিত তারেক জলিল  মাষ্টার,  সাধারণ সম্পাদক আলী আখতার, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপিত গেদাই মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমদ, বাদেপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপিত লোকমান আহমদ লুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আহমদ মুহি, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপিত অলিউর রহমান শামীম, সাধারণ সম্পাদক নুর মিয়া, লক্ষীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক তানজিম আহাদ সদস্য সচিব সাহান আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক জাকারিয়া শাহাজান, সদস্য আসফাক আহমদ, লক্ষণাবন্দ ইউপি ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ আহমদ, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুন্না আহমদ, ভাদেশ্বও ইউপি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুসাম উদ্দিন, ঢাকাদক্ষিণ সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য জাহিদ হাসান মুন্না, ফাহিম আহমদসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১৪৩