বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতির উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব, ষাটের দশকের সংগ্রামী ছাত্রনেতা, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের স্মরণে সিলেটে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


সোমবার (৮ মে) বিকাল ৫ টায় সিলেটের প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলসমুহের উদ্যোগে জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমী মিলনায়তনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও শোকসভা কমিটির আহ্বায়ক ব্যারিষ্টার আরশ আলী।



শোকসভা কমিটির সদস্য সচিব ও ঐক্যন্যাপ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস বাবুলে পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বেদানন্দ ভট্টাচার্য, জেলা জাসদ সভাপতি লোকমান আহমদ, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ইমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আরিফ মিয়া, জেলা ন্যাপ সভাপতি এম এ মতিন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি কমরেড সিকন্দর আলী, বাসদ নেতা উজ্জল রায়, জেলা বাসদ আহবায়ক আবু জাফর, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমদ, জেলা বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ সভাপতি সিরাজ আহমদ, জেলা সাম্যবাদ দল ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ব্রজগোপাল, সাম্যবাদ আন্দোলনের সমন্বয়ক সুশান্ত সিংহা, বাসদ ছাত্রলীগ কেন্দীয় সাবেক সভাপতি শাহাব উদ্দিন, সিপিবির সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, সাংস্কৃকিত ব্যক্তিত্ব এনামুল মনির, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন আহবায়ক পান্না জান্নাত, জননেতা পীর হবিবুর রহমানের ছেলে মনজুর হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ইফতেখার খালেদ প্রমুখ।


শোকসভায় বক্তারা বলেন, “জননেতা পংকজ ভট্টাচার্য বর্তমান রাজনীতির স্বপ্নের পুরুষ। প্রায় ৬০ বছর ধরে রাজনীতিতে তাঁর দৃপ্ত পদচারণা। তিনি কারা নির্যাতন সহ্য করেছেন, নানা রকম প্রতিকুল অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তাঁর যে অভীষ্ট লক্ষ্য থেকে বিচু্্যতি ঘটেনি। দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসাবে বিকল্প গড়তে নতুন প্রক্রিয়ায় সংশ্নিষ্ট হয়েছেন; কিন্তু তাঁর আদর্শে এবং চিন্তায় একনিষ্ঠ থেকেছেন।  বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখা, সমাজকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মণ্ডিত দেখা, অর্থনীতিতে সুষম বণ্টন তথা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে তিনি ছিলেন এক অবিচল নীতিনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ।


তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের’ যৌথ বাহিনী গড়ে তোলা ও তা পরিচালনায়ও তাঁর ভ’মিকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অঙ্গীভ’ত অংশ। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর উজ্জ্বল ভ’মিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যখনই দেশের জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা অসহায় মানুষ অত্যাচারের শিকার হয়েছে, পংকজ ভট্টাচার্য তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জীবনে ক্ষমতার লোভ, ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে নিজের আদর্শকে স্থান দিয়েছেন। পংকজ ভট্টাচার্য বাংলাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল পুরুষ।


সভার শুরুতে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করা হয় ও দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১৬৩