গত ঈদুল আযহার সংরক্ষণ করা কোরবানীর পশুর চামড়া সংগ্রহ করে লোকসানের মুখে পড়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
জানা গেছে, গত ঈদুল আযহায় সিলেটের ২৯টি মাদ্রাসা এবং ৩টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১০ হাজার ৩২৯টি চামড়া সংরক্ষণ করে সিসিক। এতে সংরক্ষণ ও পরিবহন খরচ বাবদ ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু ১০ হাজার ৩২৯টি চামড়া বিক্রি হয় ২৩ লাখ ৩ হাজার ৯৯৮ টাকায়। সেই হিসেবে প্রতিটি চামড়ার মূল্য আসে ২২৩. ০৬ টাকা করে। এতে লোকসানের মুখে পড়ে সিসিক। তবে এ লোকসানের দায়ভার নিজের ঘাড়ে নিয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সংরক্ষণ ও পরিবহন খরচ নিজের থেকে পরিশোধ করেন এবং প্রাপ্ত সব টাকা মাদরাসাগুলোর মাঝে বণ্টন করে দেন।
সোমবার (৯ মে ২০২৩) নগরভবনে মতবিনিময় করে পশুর চামড়ার মূল্য মাদ্রাসাসমূহের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন মেয়র আরিফ হক।
এসময় আরিফুল হক বলেন, জাতীয় সম্পদ কোরবানীর পশুর চামড়া বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়ার থেকে রক্ষায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন গত বছর এই উদ্দ্যোগ নেয়। কিন্তু ঢাকায় একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দাম বাড়াতে দেয়নি। এছাড়া ঈদের দিন সন্ধ্যার আগে যেসব চামড়া সংগ্রহ করা গেছে সেগুলোর দাম ভালো পাওয়া গেছে। চামড়া সংরক্ষণের সম্পূর্ণ ব্যয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন বহন করেছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রতিনিধি, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, দৈনিক যুগান্তরের সিলেট অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সহসভাপতি দুলাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আশকার আমীন রাব্বি প্রমুখ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ মাহি