মা বাবার একমাত্র সন্তান ছিল আল আমিন (১২)। স্বপ্ন ছিল কোরআনে হাফিজ হবে। কিন্তু হাফিজ হওয়ার স্বপ্ন উড়ে গেল কাল বৈশাখী ঝড়ে। মসজিদের মাইকের ছাদের উপর থেকে স্টিলের শীট পড়ে প্রাণ গেলো তার। সেই সাথে নিভে গেল মা বাবার স্বপ্নও।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজনগর উপজেলার খারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদীয়া আলিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আল আমিন উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ সময় মাদ্রাসা বোডিং-এ অবস্থানরত ছাত্ররা সন্ধ্যাকালীন নাস্তা খাওয়ার পর মাঠের টিওব ওয়েলে পানি পান করতে বের হয়। প্রচন্ড ঝড়ে মাদ্রাসার ছাদের উপর থেকে মাইকের বক্সের উপরের ৪ ফুট থেকে ৬ ফুট সাইজের ঢাকনাটি স্টিলের এক খন্ড সীট আল আমিনের মাথায় পড়ে গিয়ে সে গুরুত্বর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিবির পর্যবেক্ষণে রাখা হলে রাত ১টা ১০ মিনিটের সময় সে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে।
মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুুর রহমান বলেন, আল আমিন গত ফেব্রুয়ারি মাসে হিফজ শাখায় ভর্তি হয়েছে। সে মেধাবী ছাত্র ছিল। তিন মাসে ৬ পারা কোরআন শরীফ মুখস্থ করেছে সে। তার অনাকাঙ্কিত মৃত্যু আমাদের শোকাহত করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ওই মাদ্রাসার পরিচালক দেলওয়ার হোসেন বাবলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। তাকে উন্নত চিকিৎসা দিয়েও বাচাঁনো গেল না। আমরা তার অভিভাবকের কাছে মরদেহ পৌঁছে দিয়েছি। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় তার নিজ বাড়ি ইলাশপুর গ্রামে দাপন সম্পন্ন হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/সোহেল/এসডি-২২৩