ফাইল ছবি

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাব পড়বে সিলেটে। ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে গেলে দেশের বিভিন্ন এলাকাসহ সিলেটে মেঘ ছড়িয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে সিলেটের আকাশ মেঘলা রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে সিলেটে বৃষ্টি হতে পারে আজ রোববার (১৪ মে)। 


আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টির প্রভাবে সিলেট অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।


 

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন,  সোমবার (১৫ মে) নাগাদ মেঘ প্রায় সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে। এ সময় সিলেটে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।


তিনি বলেন, ঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।


আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, কক্সবাজারের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

 

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ইআ-০৩