সিলেটের জকিগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নিযার্তনের মামলার আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বারঠাকুরী ইউনিয়নের উত্তরবাগ এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে আলকাছ উদ্দিন (৩২)।


জানা যায়, ছয় মাস পূর্বে জকিগঞ্জ থানাধীন বারঠাকুরী ইউনিয়নের উত্তরবাগ এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে আলকাছ উদ্দিনের  সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাজল সাকিনন্থ মৃত মকদ্দছ আলীর মেয়ে রিমা আক্তারের সাথে বিবাহ হয়।


 

বিবাহের পর থেকেই স্ত্রী রিমা আক্তারের কাছে যৌতুক দাবী করে আসছিল আলকাছ উদ্দিন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে মাঝে মধ্যে রিমা আক্তারের উপর চালাতো শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন। নিযার্তনের সহযোগীতা করতো আলকাছ উদ্দিনের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন। এই নিয়ে রিমা আক্তার ও আলকাছ উদ্দিনের দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো।

১১ মে রাতে রিমা আক্তারের স্বামী যৌতুকের টাকা চাইলে রিমা আক্তার স্বামীর কথা অপারগতা প্রকাশ করে। এ সময়  আলকাছ উদ্দিন স্ত্রীর চুলে ধরে মাটিতে ফেলে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। রিমা আক্তার কান্নাকাটি শোর-চিৎকার করলে রিমা আক্তারের স্বামীর বড় ভাই জয়নাল আবেদীন বলে শালীর বেটিকে চুল কাটিয়া বের করে দেও বলিয়া কাঁচি নিয়া আসিয়া রিমা আক্তারের মাথার লম্বা চুল কাটিয়া ফেলে এবং এলোপাথারি কিল, ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলাচেছা জখম করে। বিবাদী  ভয়ে আত্মরক্ষার জন্য দৌড়াইয়া পালাইয়া পুকরা সাকিনস্থ মো. জাকির হোসেন এর বাড়ীতে গিয়ে আত্মরক্ষা করে। 


পরবর্তী জাকির হোসেন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রদান করেন এবং রিমা আক্তারের অভিভাবককে তাহার বাড়ীতে আসতে বলেন। ৯৯৯  এর সংবাদ পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া রিমা আক্তারকে উদ্ধার করেন। রিমা আক্তার কে তার মায়ের জিম্মায় দিয়ে চিকিৎসার জন্য দ্রুত জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেরণ করেন।  

 

পরবর্তীতে রিমা আক্তার বাদী হতে জকিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যা মামলা নং ১৩।


এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলকাছ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আলকাছ উদ্দিনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ইআ-০৫