হবিগঞ্জের বাহুবলে জমি ক্রয় বা হস্তান্তর দলিল রেজিস্ট্রির ৪ বছর পরও মূল দলিল পাচ্ছে না ক্রেতারা। এ নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
 

যদিও সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে পর্যাপ্ত এক্সট্রা মোহরার বা নকলনবিশ না থাকার কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হবে।
 


জানা যায়, বাহুবল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতি মাসে গড়ে ৪০০ বেশি দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে। দলিল রেজিস্ট্রি ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর তা বালাম-বহিতে নকলনবিশরা লিপিবদ্ধ করে থাকেন। এ অফিসে বর্তমানে ৯ জন নকলনবিশ কর্মরত আছেন। তারা মাসে গড়ে প্রায় তিনশ’ দলিল বালাম বহিতে লিপিবদ্ধ করতে পারেন। এছাড়া তাদের নকল দলিলও (সত্যায়িত অনুলিপি) লিপিবদ্ধ করতে হয়। এসব কারণে বালাম বহিতে অন্তর্ভূক্ত দলিলের সংখ্যা কমবেশি হয়ে থাকে।
 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী উপজেলার খরিয়া গ্রামের খলিল মিয়া জানান, বিগত ২০১৯ সনের শুরুর দিকে একটি জমি হস্তান্তর দলিল রেজিস্ট্রি করেছিলাম, আজও মূল দলিল পাইনি। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের লোকজন বলছেন মূল দলিল পেতে আরো ৫/৬ মাস সময় লাগবে। একই অভিযোগ করেছেন বানিয়াগাঁও গ্রামের শামছুদ্দিন, তেলিকান্দি গ্রামের মুশাহিদ আলী, শাহপুর গ্রামের আবিদ মিয়া। তাদের অভিযোগ, মূল দলিল পেতে বিলম্ব হওয়ায় দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি (সই-মোহরকৃত নকল দলিল) উঠাতে হয়। এতে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা।
 

তাই দ্রুত এ স সমস্যা সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তারা অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা সাব-রেজিস্টার সুশান্ত ঘোষ বলেন, মূলত এক্সট্রা মোহরার পর্যাপ্ত না থাকায় মূল দলিল সরবরাহ করতে বিলম্ব হচ্ছে। আরো অন্ততঃ ৪ জন এক্সট্রা মোহরার নিয়োগদানের জন্য উর্ধ্বতন মহলে চাহিদা প্রেরণ করেছি।
 

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ২০১৮ সানের জুন মাসে সম্পাদিত মূল দলিল সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদানুযায়ী এক্সট্রা মোহরার সংযুক্ত হলে জনগণ দ্রুত সময়ে মূল দলিল পাবে।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জাকির/এসডি-২৬০