ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজারে মূল আঘাত করলেও দেশের অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায়ও তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে কক্সবাজার ছাড়া অন্য কোনো উপকূলীয় এলাকায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বরিশাল-খুলনাসহ কয়েকটি উপকূলীয় এলাকায় তেমন কোনো প্রভাবই পড়েনি। রাজধানী ঢাকাতে দিনভর মেঘলা আকাশ থাকলেও দেখা মেলেনি বৃষ্টির। যদিও দেশের কোনো কোনো এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা পুরো শক্তি নিয়ে দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানবে বলে আভাস ছিল আবহাওয়া অধিদফতরের। জানমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কেটেছে গত কয়েকটি দিন। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ কমিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় সর্বাত্মক ব্যবস্থা। অবশেষে রোববার (১৪ মে) দুপুরে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়টি। সেন্টমার্টিন-টেকনাফসহ কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় মোখা ব্যাপক তাণ্ডব চালালেও জানমালের বড় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশ।
আবহাওয়াবিদরা জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের একটা বড় অংশজুড়ে আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত এর মূল আঘাতটি পড়ে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে। সেখানে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে মোখা। মিয়ানমারে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। বাংলাদেশে যখন মোখা আঘাত করে তখন এর শক্তি অনেকটা কমে আসে। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ২২ নম্বর বিশেষ ও সিরিজের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে এবং দুর্বল হয়ে সিটুয়ে, মিয়ানমারের স্থলে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/পিডি
সূত্র : ঢাকামেইল