ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, কুরআন হলো মানবতার মুক্তির সোপান। যেখানেই কুরআনের আলো ছড়াবে সেখান থেকেই অকল্যাণের আঁধার দূরীভূত হবে। আজ আমাদের সমাজে নানা সমস্যা। এই সব সমস্যার সমাধান করতে কুরআনি শিক্ষার প্রচার বাড়াতে হবে। সবাইকে কুরআনের আলোকিত পথে আসতে হবে। তবেই সমাজ থেকে অশান্তি ও অন্ধকার দূর হবে। তিনি বলেন, ইখলাছের সাথে দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করতে হবে। দ্বীনি শিক্ষা কেবল দ্বীনি নয়, সমসাময়িক সমস্যা সমাধানেও এর প্রয়োজন রয়েছে। দ্বীনি শিক্ষার প্রসার, প্রচার-এর মাধ্যমে সুন্দর একটি জাতি গঠন করা সম্ভব। 


তিনি শনিবার (১৩ মে) দুপুরে ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে একটি মানসম্মত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তানজিমুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা  হায়দরপুর (খালিগাঁও) সুনামগঞ্জ রোড, টুকেরবাজার, জালালাবাদ সিলেটের আনুষ্ঠানিক পাঠদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 



তানজিমুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির পরিচালক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান এর সভাপতিত্বে ও হাফিজ মাওলানা আব্দুল মুমিনের পরিচালনায় সবক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লাউয়াই ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রওনক আহমদ, ২নং হাটখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে.এম রফিকুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজসেবী মাওলানা কাজী জুনায়েদ আহমদ, মুহাম্মদ আব্দুল মুকিত, ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির ডালিম, নাজিম উদ্দিন, মাওলানা মিসবাহুজ্জামান বদিউজ্জামান, ডা. জিয়াউর রহমান। বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলতাফ হোসেন সুমন, আব্দুর রহমান খোরাসানী, ফজলুল করিম ফুল মিয়া ও রেজাউল রহমান মোস্তাক, ৩৮নং ৩৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রাথীর্ উসমান হারুন পনির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মন্ডল- ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হুসেন, আ.খ.ম. লোকমান, মো. নাসীমুর রিয়াজ, হাফিজি আবুল কালাম, দেলোয়ার হুসেন, আব্দুল খালিক, মাওলানা রফিকুল হক, মাওলানা রইছ উদ্দিন, কাবুল আহমদ রুম্মান, হাবীবুর রহমান তালুকদার, জামাল উদ্দিন। 


শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া পরিচালনা  করেন ফতেহপুর কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুদ্দোহা।


প্রধান অতিথি আরো বলেন, আজকের শিশুরাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এই ভবিষ্যৎকে আলোকিত করতে হলে সন্তানদের কুরআনি শিক্ষা দিতে হবে। কুরআনি আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে হবে। একজন মানুষের হৃদয়ে যখন কুরআনের চেতনা থাকবে তখন সে দুর্নীতি করবে না, অন্যায় করবে না, সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ করবে না। অনুষ্ঠান শেষে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীকে কুরআনের সবক প্রদান ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা প্রদান এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।


উল্লেখ্য অত্র মাদরাসায় আমল-আখলাক ও তাক্বওয়া অর্জনে গুরুত্ব প্রদান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষমন্ডলী দ্বারা পাঠদান, তিন বছরে হিফজ সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা, আবাসিক ছাত্রদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান, স্থানীয় ও জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ, অডিও/ ভিডিও এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্বারীদের তিলাওয়াতের অনুসরণ বার্ষিক শিক্ষা সফর। এই মাদরাসা হিফজ, মহিলা হিফজ, নাজেরা, নুরানী ও বৈকালিক মক্তব্য কার্যক্রম চালু রয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/সবি/ইআ-০৭