মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় স্থানান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শ্রীমঙ্গলস্থ সরকারি কলেজ ও গাউছিয়া সফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের কলেজ রোডস্থ ময়লার ভাগাড়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দেন যদি ময়লার ভাগাড় এখান থেকে সরানো না হয় তাহলে তারা ক্লাস বর্জন ও আমরণ অনশন করবেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী শতাধিক শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন।
ময়লার ভাগাড় স্থান্তারের ব্যাপারে শ্রীমঙ্গলস্থ পৌরসভার মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু বলেন, 'আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ২০১৭ সালে শহরের অদুরে হাইল হাওরের পাশর জেটি রোড এলাকায় ময়লা ফেলার জন্য ২.৪৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়ে ছিল। কিন্তু তৎকালীন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় এবং এলাকাবাসীর বিরোধীতায় তা আটকে যায়। এ ব্যাপারে ওই এলাকার একজন বাসিন্দা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত স্থগিতাদেশ দেয়ার কারনে কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না।
শ্রীমঙ্গলস্থ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় বলেন, বর্তমান কলেজ রোডের ময়লার ভাগাড়ে যখন ময়লা ফেলা শুরু হয় তখন ওই এলাকায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবসতি ছিল না। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবসতি গড়ে ওঠার কারনে আজ দাবি ওঠেছে ময়লার ভাগাড় সরানোর। জেলা প্রশাসক কর্তৃক জেটি রোড এলাকায় যেখানে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানের আশপাশে কয়েকটি গ্রাম, মসজিদ ও মন্দির রয়েছে। এক এলাকার জনগণের সুবিধা করে আরেক এলাকার জনগণের অসুবিধা করা অমানবিক। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের সাথে পরামর্শ করে বিকল্প সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করে অন্য কোথাও জায়গা নির্ধারণের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।'
উল্লেখ্য, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ের পাশেই শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, দি বাডস রেসিডেন্টসিয়্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও গাউছিয়া সফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছেন। এছাড়া ভাগাড়ের পাশে দুটি আবাসিক এলাকায় দুই শতাধিক পরিবারের আবাস। ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/সাইফুল/এসডি-৩২৩