মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লা ফেলার জায়গা করে করেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এসব ময়লার ভাগাড় স্থানান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এই তিন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবি শীঘ্রই পূরণ না হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছে তারা।


মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গল পৌরশহরের কলেজ রোডস্থ ময়লার ভাগাড়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

জানা যায়, শ্রীমঙ্গল পৌরশহরে সরকারি কলেজ, গাউছিয়া সফিকিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা ও  দি বার্ডস রেসিডেন্সিয়্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ- এই তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাশাপাশি। এই তিন প্রতিষ্ঠানের সামনে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তায় পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলার জায়গা করে নিয়েছেন। এই ময়লার জন্য পথচারী ও শিক্ষার্থীদের এ পথ দিয়ে যাতায়াতে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।

দিনের পর দিন এমন অবস্থা বিরাজ করায় অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে রাস্তায় নেমে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দেন- যদি ময়লার ভাগাড় এখান থেকে সরানো না হয় তাহলে তারা ক্লাস বর্জন ও আমরণ অনশন করবেন।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী শতাধিক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ২০১৭ সালে পৌশহরের অদূরে হাইল হাওরের পাশের জেটি রোড এলাকায় ময়লা ফেলার জন্য ২.৪৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলাপরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় এবং স্থানীয়দের বিরোধীতায় ওই সময় সেখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা যায়নি। এছাড়া এ ব্যাপারে ওই এলাকার একজন বাসিন্দা  হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত স্থগিতাদেশ দেওয়ার কারণে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলাপরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় বলেন, বর্তমান কলেজ রোডের ময়লার ভাগাড়ে যখন ময়লা ফেলা শুরু হয় তখন ওই এলাকায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনবসতি ছিলো না। পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনবসতি গড়ে উঠার কারণে আজ দাবি উঠেছে ময়লার ভাগাড় সরানোর।

তিনি বলেন- জেলা প্রশাসক কর্তৃক জেটি রোড এলাকায় যেখানে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানের আশপাশে কয়েকটি গ্রাম, মসজিদ ও মন্দির রয়েছে। এক এলাকার জনগণের সুবিধা করে আরেক এলাকার জনগণের অসুবিধা করা অমানবিক। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের সাথে পরামর্শ করে বিকল্প সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করে অন্য কোথাও জায়গা নির্ধারণের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।

সিলেটভিউ২৪ডটকম / সাইফুল / ডি.আর