তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি হচ্ছে গাড়ি বসে গেলে ওটাকে স্টার্ট দেওয়ার মতো। কারণ বিএনপি দলটাই বসে গেছে। মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেওয়ার জন্য, যাতে জং ধরে না যায় সেজন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।
 

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রামে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন ওপেনিং সেরিমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
 


ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউকে সফর করেছেন। তিনি অত্যন্ত সফল একটা সফর করে এসেছেন। যে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংক নিজেরাই প্রস্তাব করেছে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে সহায়তা করার। জাপান ৩০ বিলিয়ন ইয়েন আমাদেরকে সাহায্য করবে বিভিন্ন প্রকল্পে। আমার মনে হয়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেবসহ বিএনপির নেতারা বিশ্বময় যে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা, সেটি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।
 

তিনি বলেন, আজ শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। যাদের বুদ্ধি, চোখ-কান, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে বোধশক্তি আছে তারা এগুলো বুঝতে পারে। এখন বিএনপি নেতারা কেন দৃষ্টিহীন ও শ্রবণ শক্তিহীন, তার সঙ্গে বোধশক্তিহীনও হয়ে গেল সেটি আমার বোধগম্য নয়।

এর আগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন ওপেনিং সেরিমনি অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়। একজন শিক্ষার্থী বিশ্বাঙ্গনে যাতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে, বিশ্বময় সে যাতে দাপিয়ে বেড়াতে পারে, বিশ্বাঙ্গনে সে যাতে তার যোগ্যতা তুলে ধরতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষা নিকেতন।
 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শেখাতে হবে কীভাবে জীবন গড়তে হবে। কীভাবে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হবে এবং কীভাবে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের বহুমাত্রিক মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে, তাহলেই সেটি বিশ্ববিদ্যালয়। না হয় সেটির নাম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া শ্রেয় নয়। আমি জানি ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটি করা হয়। সেটিকে যদি আরও বিস্তৃত করা হয়, তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হবে তাদের সত্যিকার অর্থে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
 

ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো কিছুই প্রতিবন্ধকতা নয়। প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ভয় ও প্রচেষ্টার অভাব এবং স্বপ্ন দেখতে না পারা। স্বপ্নের সঙ্গে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করতে হবে। অভিভাবকদের স্বপ্ন দেখাতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য তারা যাতে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে, সেটিই তাদের শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে সব স্বপ্ন না হলেও অনেক স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হবে।
 

ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৩৬৫


সূত্র : ঢাকাপোষ্ট