সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে  রফিনগর ইউনিয়নের রফিনগর গ্রামের কান্দাহাটীতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দু'পক্ষের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে  -২০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের দিরাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 


সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় গ্রামের তালেব আলী ও মাহবুব মিয়ার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

 

জানা যায়, কিছুদিন আগে একটি কবুতরকে নিয়ে তালেব আলী ও ইউপি সদস্য মামুন মিয়ার মধ্যে মারামারির ঘটনায়  কয়েকজন আহত হয়েছিল এতে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা হয়েছিল। কয়েকজন এই ঘটনায় জেলও খেটেছিল। এলাকাবাসী ও দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের মধ্যে আপোস মিমাংসা করা হয়। এতে উভয় পক্ষের মামলা নিজ খরচে  আদালতে আপোস নামা দেওয়ার কথা থাকলেও ইউপি সদস্য মামুন মিয়ার মামলা আপোস নামা আদালতে দেওয়া হয় কিন্তু অপর পক্ষ তালেব আলীর পক্ষ থেকে মামলা না তুলে  নেওয়ায় আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।এ নিয়ে এলাকাবাসী ও দিরাই পুলিশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়ে  গেলেও কোন পক্ষ ই কথা রাখেনি। এর জের ধরে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে উভয় পক্ষের ২০/২৫ জন আহত হয়েছে।  

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তালেব আলীর পক্ষ বন্দুকের কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে ইউপি সদস্য মামুন মিয়া,  ওবায়দুর রহমান, বায়জিদ, আতিকুল্লাহ, হেলিম, জাকির হুসেন, ওমর ফারুক গুলিবিদ্ব হয়।

 

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মুক্তাদির হোসেন  বলেন, ঘটনার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষের আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি  এখন শান্ত রয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/হিল্লুল/ইআ-১০