কুলাউড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকারের উদ্ভাবিত অনলাইন ডিজিটাল প্রাণিসম্পদ সেবাগ্রহীতারা (bdvets.com)’র মাধ্যমে তাদের খামারের বিভিন্ন জাতের প্রাণিসম্পদের সমস্যা নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন। হাতের মুঠোয়, ঘরে বসে অনলাইন ডিজিটাল প্রাণিসম্পদ সেবা ও কাগজবিহীন অফিস ব্যবস্থাপনা সুবিধাভোগ করছে।
 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার জানান, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সেবা পেতে, সেবাগ্রহীতাকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে আসতে হয়। কিছুক্ষেত্রে গবাদি প্রাণী/পাখীকে নিয়ে আসতে হয়। এতে সেবাগ্রহীতার যাতায়াত খরচ, কর্মঘন্টা ও সময়ের ব্যয় হয়। সময় সময় কৃষকের বাড়ি গিয়েও চিকিৎসা দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও যাতায়াতের জন্য সময় ব্যয় হয় এবং উক্ত সময়ের মাঝে কৃষকের প্রাণী মারাও যেতে পারে। ফলে জনগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন।
 


তিনি জানান, সরকারি সেবাকে হাতের মুঠোয় এবং দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, সফল উদ্যোক্তা তৈরি করা, নিরাপদ খাদ্যের যোগান, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত, কাগজবিহীন অফিস এবং নাগরিক সেবায় শতভাগ ডিজিটালাইজেশন করে বিগত ২০১৫ সালে ‘ডিজিটাল প্রাণিসম্পদ সেবা’ চালু করার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম তিনি নিজ উদ্যোগে শুরু করেন। ২০১৭ সালে অ্যাপস এবং ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন উদ্ভাবন করা হয়। প্রোগ্রামিংয়ের কাজ শিখে ২০১৮ সালে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এবং ২০১৯ সাল থেকে আইডিয়া বাস্তবায়িত করে ২০২০ ও ২০২১ সালে লাইভস্টক মার্কেট, ২০২২ সালে ‘ই-প্রশিক্ষণ’, ‘বিগ ডাটা’ এবং ‘হসপিটাল নেটওয়ার্ক’ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উদ্যোগের ধারণাটি মৌলিক সেবা প্রদান এবং গ্রহণে সমস্যা সমাধানের উপায় ও সেবা সহজীকরণ ধারণা থেকে উৎপত্তি করা হয়।
 

তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই অ্যাপস আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। শুক্র-শনি বন্ধের দিনসহ প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা ঘরে বসেই অডিওকল, অনলাইন, লাইভচ্যাট বা ভিডিওকলের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন। সেবাগ্রহীতাদের অর্থ, সময় ও কর্মঘন্টা সাশ্রয় হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাগণ উপকৃত হওয়াতে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ও নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে।
 

পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগটি দারিদ্র্য বিমোচনে এবং এস.ডি.জি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে। ২০১৯ সাল থেকে চলমান এই অ্যাপস'র মাধ্যমে ১টি উপজেলা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ১৬৪টি উপজেলার খামারিগণ সেবা নিয়েছেন। প্রতিদিন সেবাগ্রহীতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
 

সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত প্রকল্প এবং ক্লিনিক, হাসপাতাল ও সরকারি-বেসরকারি অফিসেও এ ধরনের সেবা চালু করার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/অনি/এসডি-৪৯৭