শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে ১৬১ রানের টার্গেট দিয়েছে খুলনা। দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটেই মূলত লড়ার পুঁজি পেয়েছে তারা।

এ ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে বিপিএলের দশম আসরের সিলেট পর্ব।


টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় রংপুর রাইডার্স। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাকফুটে খুলনা টাইগার্স। মেহেদি হাসানের ঘূর্ণিতে রনি তালুকদারের তালুবন্দি হয়ে শূন্যতে কাটা পড়েন এনামুল হক বিজয়। মাহমুদুল হাসান জয়ও টিকতে পারেননি। ৭ রান করা জয়কে তুলে নেন মেহেদি।

দলীয় ৫০ রানে হাসান মাহমুদের গতির ঝড়ে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন আফিফ হোসেন (৪)। এক প্রান্তে পাল্টা আক্রমণে জবাব দিচ্ছিলেন এভিন লুইস। তাঁর জন্য ‘ঘাতক’ হয়ে আসেন হাসান মাহমুদ। ২৫ বলে সমান তিনটি করে চার ও ছয়ে ৩৭ রান লুইস ক্যাচ দেন সোহানের হাতে।

৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হতোদ্যম খুলনাকে পথ দেখান দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। পঞ্চম জুটিতে এ দুজন প্রতি-আক্রমণে ৫৩ বলে গড়েন ৭৭ রানের দুর্দান্ত জুটি। জুটির শুরুটা রয়েসয়ে থাকলেও পরে হাত খুলেছেন দুজনেই। খুলনার ব্যাটিংয়ের ভিত গড়ে দেওয়া এ জুটি ভাঙে শানাকার বিদায়ে। ১৯তম ওভারে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৩৩ বলে এক ছয় ও পাঁচ চারে ৪০ রান করেন লঙ্কান এই ব্যাটার।

ইনিংসের শেষ ওভারে ফিরে যান নাওয়াজও। রিপন মণ্ডলের বলে রনি তালুকদারের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৫৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ ওভারেই ফিফটি তুলে নেওয়া নাওয়াজের ইনিংসে ছিল তিনটি ছয় ও পাঁচটি চার।

৬ উইকেটে ১৬০ রানে থামে খুলনা টাইগার্স। রংপুরের হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩টি, মেহেদি হাসান ৪ ওভারে ২০ রানে ২টি উইকেট নেন।

উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করেন সাকিব আল হাসান।

দুই দলই ঢাকা পর্বে দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। তাতে দুই ম্যাচই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে এনামুল হক বিজয়ের খুলনা। অন্যদিকে একটিতে হার ও একটিতে জয় নিয়ে টেবিলের তিনে আছে সাকিবের রংপুর।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে