ফিফটির আগে অনেকটাই শান্ত ছিল আভিষ্কা ফার্নান্দোর ব্যাট। কিন্তু ৪০ বলে ফিফটির পরই যেন নতুন প্রাণশক্তিতে জেগে ওঠেন এই লঙ্কান। পরের ১০ বলেই করেন ৩৯ রান! তার এই ব্যাটিং তাণ্ডবের সাথে যুক্ত হয় কার্টিস ক্যাম্ফারের ঝড়। এ দুজনের ব্যাটে ভর করে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৯৩ রানের পাহাড় গড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এটাই এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ফরচুন বরিশাল। ব্যাটিং পাওয়াটা যেন বাড়তি লাভ হয়েই দেখা দেয় চট্টগ্রামের জন্য। তাইজুল ইসলামের করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা তিন বাউন্ডারি হাঁকান তানজিদ হাসান তামিম! পঞ্চম বল প্যাডের ওপর ভাসিয়ে দিয়েছিলেন তাইজুল, স্লগ সুইপে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারতে যান তানজিদ। কিন্তু বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়ে শেষ হয় তার ৫ বলে ১২ রানের ইনিংস।


নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফের আঘাত হানেন তইজুল। বল স্পিন করে বেরিয়ে যাবে মনে করে ব্যাট চালান ইমরানউজ্জামান। কিন্তু বল ভেতরে ঢুকে স্টাম্প ছত্রখান করে দেয় তার (৮ বলে ৪)।

২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসা চট্টগ্রামকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান আভিষ্কা ফার্নান্দো ও শাহাদাত হোসেন। তৃতীয় উইকেটে এ দুজন গড়েন ৫৫ বলে ৭০ রানের দারুণ এক জুটি। কার্যকর এ জুটি ভাঙে শাহাদাতের বিদায়ে। ক্যারিবিয়ান স্পিনার ইয়ানিক ক্যারিয়াহর গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়ে যান ২৯ বলে দুটি চার ও একটি ছয়ে ৩১ রান করা শাহাদাত।

জুটি ভাঙলেও ‘মচকাননি’ ফার্নান্দো। স্ট্রোকের ঢালি মেলে তুলোধুনো করতে থাকেন বরিশালের বোলারদের। ৪০ বলে ফিফটি করা এই লঙ্কান পরের ১০ বলে যোগ করেন আরও ৩৯ রান। এর মধ্যে ছক্কা চারটি, চার তিনটি।

শাহাদাতের আউটের পর ফার্নান্দোর সঙ্গে যোগ দেন কার্টিস ক্যাম্ফার। এসেই ব্যাটে ঝড় তুলেন এই আইরিশ ক্রিকেটার। প্রথম তিন বলেই কামরুল ইসলামকে পাঠান বাউন্ডারিতে। পরের ওভারে আব্বাস আফ্রিদিকে দুবার উড়িয়ে দেন সীমানার বাইরে। ৯ বলে দুটি ছয় ও তিনটি চারে ২৯ রান আসে ক্যাম্ফারের ব্যাট থেকে। সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়া ফার্নান্দোকে অপরাজিত থাকতে হয় ৫০ বলে সাতটি ছয় ও পাঁচটি চারে ৯১ রানে। তাদের ১১ বলের জুটিতে রান আসে ৩৪।

বরিশালের সেরা বোলার তাইজুল। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় পেয়েছেন ২টি উইকেট।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে