১৬ ওভার শেষেও খুলনা টাইগার্সের রান ছিল ৭ উইকেটে ৮৮। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। পরের চার ওভারে রীতিমতো ঝড় বয়ে গেল ফরচুন বরিশালের বোলারদের ওপর দিয়ে। দুই পাকিস্তানি তারকা মোহাম্মদ নাওয়াজ ও ফাহিম আশরাফের তাণ্ডবে শেষ চার ওভারে রান এলো ৬৭! খুলনা পেয়ে গেল চ্যালেঞ্জিং স্কোর।

বিপিএলের সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্স সংগ্রহ করেছে ৮ উইকেটে ১৫৫ রান। টসে জিতে বোলিং বেছে নেয় বরিশাল।


ব্যাটিংয়ে নেমে ধাক্কা খেতে দেরি হয়নি খুলনা টাইগার্সের। আকিফ জাভেদের খানিকটা অ্যাঙ্গেলে ঢোকা বলে বোল্ড এনামুল হক বিজয় (১৩ বলে ১২)। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই শেষ হাবিবুর রহমান সোহান (৭ বলে ২)। তিন রান কিছুতেই হয় না; সেখানে তিন রান নিতে গিয়ে কাটা পড়েন সোহান।

দারুণ খেলছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার ব্যাটে চড়ে বড় ইনিংসের দিকে যাওয়ার পথ খোঁজছিল খুলনা। কিন্তু বিপিএলে ফের এসে যোগ দেওয়া পাকিস্তানি তারকা শোয়েব মালিকের খানিকটা নিচু হওয়া বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে শেষ হয় ইমনের ২৪ বলে চারটি চার ও একটি ছয়ে করা ৩৩ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংস। ইমনের পর একই ওভারেরে পরের বলে আফিফ হোসেনকেও তুলে নেন শোয়েব মালিক। মিড উইকেটে খেলতে গিয়ে সোজা মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ (০)।

টিকতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়ও (১৯ বলে ১৩)। তাইজুল ইসলামের টসড আপ ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হন খানিকটা এগিয়ে যাওয়া জয়, মিস করেন বল। সেটি ধরে স্টাম্প ছত্রখান করতে সমস্যা হয়নি মুশফিকুর রহিমের। নিজের পরের ওভারে শ্রীলঙ্কান দাসুন শানাকার (১৩ বলে ৬) স্টাম্প ভেঙে দেন তাইজুল। নাহিদুল ইসলামকে (৫) বোল্ড করে ফেরান মোহাম্মদ ইমরান।

১৬ ওভার শেষে খুলনা ৭ উইকেটে হারিয়ে ৮৮ রান নিয়ে ধুঁকছিল। এরপরই মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ব্যাটিং মোহাম্মদ নাওয়াজ ও ফাহিম আশরাফের। ১৭তম ওভারে ১৩ রান, ১৮তম ওভারে ১৮ রান, ১৯তম ওভারে ১৮ রান ও শেষ ওভারে ১৮ রান তুলে নেন দুজন মিলে।

অষ্টম জুটিতে এ দুজন মাত্র ২৪ বলে তুলেন ৬৭ রান। বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ ছিলেন বেশি বিধ্বংসী। ২৪৬ স্ট্রাইক রেটে ১৩ বলে ৩২ রান করার পথে মেরেছেন পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা। চারের দিকে ‘মনোযোগ’ দেননি নাওয়াজ। তার ২৩ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে ছক্কা চারটি!

শেষ ওভারের শেষ বলে রান আউট হন ফাহিম আশরাফ। ৮ উইকেটে ১৫৫ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে