এক ভাই বেশ কিছুদিন ধরে জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য উইঙ্গার। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হলো আরেক ভাইয়ের নাম; যিনি খেলেন রাইট-ব্যাক পজিশনে।

 


 

সাদ উদ্দিন ও তাজ উদ্দিন। সিলেটের এই আপন দুই ভাই একইসাথে ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্কোয়াডে।

 

 

আগামী মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। এ দুই ম্যাচের জন্য ২৮ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছেন জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন তাজ উদ্দিন।

 

 

সাদ উদ্দিনের উত্থান ২০১৫ সালে। সেবার অনূর্ধ্ব ১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সাদ।

 

 

২০১৮ সালে জাতীয় দলের দরজা খুলে সাদ উদ্দিনের জন্য। এরপর থেকে দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এই ফুটবলার।

 

 

সাদ উদ্দিনের ছোট ভাই তাজ উদ্দিন কয়েক বছর ধরে খেলছেন ঘরোয়া ফুটবল। বর্তমানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ডিফেন্স সামলাচ্ছেন এই তরুণ। ঘরোয়া ফুটবলে ভালো খেলে তিনি নজর কেড়েছেন জাতীয় দলের কোচের।

 

 

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে ২ মার্চ সৌদি আরবে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে আল তাইফ শহরের কিং ফয়সাল স্পোর্টস সিটিতে ১৫ দিনের ক্যাম্প শেষে ১৭ মার্চ দল যাবে কুয়েতে। তবে ২৮ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়বেন ৫ জন। ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ। এরপর ২৬ মার্চ ঢাকায় একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

 

 

সাদ ও তাজ একইসাথে জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পেলেও একইসাথে মাঠে খেলা হবে কিনা, তা নিয়ে খানিকটা অনিশ্চয়তা আছে। কারণ, সাদের চোট আছে।

 

 

বাংলাদেশ জাতীয় দলে দুই ভাইয়ের খেলার ঘটনা অবশ্য পুরনো। জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ ছিল ১৯৭৩ সালে, মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে। সে দলেই দুই ভাই শরীফুজ্জামান ও নওশেরুজ্জামান একইসাথে আক্রমণভাগে খেলেন।

 

 

মারদেকা কাপের পরের আসরে আরেক সহোদর জুটি দেখে বাংলাদেশ। তারা ছিলেন মনোয়ার হোসেন নান্নু ও শামসুল আলম মঞ্জু।

 

 

জাহিদ হাসান এমিলি ও তার ভাই শাকিল একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলেছেন।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে